মাটির গয়না, কাঁথাস্টিচের শাড়ির পসরা সাজিয়ে সোনাঝুরির হাট বসছে কলকাতায়!
কলকাতায় (Kolkata) উঠে আসছে একটুকরো সোনাঝুরি (Sonajhuri Haat)। শুক্রবার (Friday) দুপুর গড়ালেই থেকে বাদামতলা আষাঢ় সংঘের (Badamtala Ashar Sangha Durga Puja Committee) পুজো প্রাঙ্গনে বসবে বিশাল হাট (Sonajhuri Haat)। গল্প মনে হলেও এ কথা একেবারে সত্যি। হ্যান্ডলুমের শাড়ি-পাঞ্জাবি, ডোকরার গয়না, মাটির গয়না, কাঁথাস্টিচের শাড়ি, কুর্তি, পাঞ্জাবি, ওড়না থেকে ঘর সাজানোর জন্য হাতে তৈরি ল্যাম্প শেড, বেতের দ্রব্যাদি…থাকবে সব। উদ্যোক্তারা বলছেন, রাসবিহারী মোড় থেকে একেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বসা এই হাটে এলে বুঝতেই পারবেন না শান্তিনিকেতনে নাকি দক্ষিণ কলকাতায় রয়েছেন আপনি।
করোনা সংক্রমনের জেরে বছর দেড়েক ধরে সোনাঝুরির হাটে (Sonajhuri Haat) বিক্রি নেই বললেই চলে। পর্যটন (Tourism) বন্ধ থাকায় ক্রেতার অভাবে হাঁড়ি চড়ছে না বহু হস্তশিল্পী, লোকশিল্পী বা ব্যবসায়ীর সংসারে। তাই পুজোর ঠিক আগে সেই সব শিল্পী তথা ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফোটাতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ক্রিয়েটিভ বেঙ্গল (Creative Bengal), পাশে পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট (International Foundation for Sustainable Development) বা IFSD এবং বাদামতলা আষাঢ় সংঘকে (Badamtala Ashar Sangha Durga Puja Committee)। আগামিকাল বিকেলে হাটের উদ্বোধন (Sonajhuri Haat Inauguration)।
বাদামতলা আষাঢ় সংঘের অন্যতম প্রধান কর্মকর্তা সন্দীপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “শুক্রবার বিকেলে উদ্বোধন হাটের। বিকিকিনি চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। পরের দিন অর্থাৎ শনিবারে বসবে শান্তিনিকেতনের বিখ্যাত শনিবারের হাট। বেলা ২টো থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে হাটের কেনাকাটা।রবিবার শেষ দিন। এ দিন সকাল দশ’টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত হাটে কেনাবেচা হবে। শাড়ি, গয়না থেকে চুড়ি, ঘর সাজানোর নানা জিনিসের পসরা নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই শহরে আসতে শুরু করবেন শান্তিনিকেতনের শিল্পীরা।” মেলায় থাকছে প্রায় ৩০টি নানা জিনিসের স্টল। তার মধ্যে কুড়িটিরও বেশি স্টলে থাকবে শান্তিনিকেতনের জনপ্রিয় শাড়ি-কাঁথা-গয়না। বাকি কয়েকটিতে কলকাতার কিছু শিল্পী তাঁদের সম্ভার নিয়ে উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, বাদামতলা আষাঢ় সংঘের এ বারের পুজো ৮৩ তম বছরে পা দিল। দীর্ঘ দু-বছরে করোনার জেরে মানুষের জীবনে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। প্রায় প্রতিটি পরিবারই তাঁদের কাছের মানুষকে হারিয়েছে। তাই সব অন্ধকার মুছে যাক। নতুন সূর্য উঠুক…সেই আশার নিয়েই বাদামতলার এ বারের থিম ‘আশা’। শিল্পী রাজকুমার প্রামাণিকের শিল্প ভাবনায় সেজে উঠছে বাদামতলার পুজো মণ্ডপ।