উৎপাদনকারী রাজ্য না হওয়া সত্ত্বেও বেড়ে চলেছে বাংলার জিএসটি আদায়
অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। দাবি করছে অর্থমন্ত্রক। শুক্রবার অর্থমন্ত্রক প্রকাশ করেছে সেপ্টেম্বর মাসের জিএসটি সংগ্রহের হিসেব। সেপ্টেম্বর মাসে ১ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকার জিএসটি আদায় হয়েছে। আগস্ট মাসে এই অঙ্ক ছিল ১ লক্ষ ১২ হাজার কোটি টাকা। জুলাই মাসে ছিল ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে জিএসটি আদায় কমে গেলেও সেপ্টেম্বর মাসে আবার তা বেড়েছে। অর্থমন্ত্রক শুক্রবার বলেছে, দেশের কোর সেক্টরের বৃদ্ধির হার বাড়ছে। শিল্পোৎপাদন হার বৃদ্ধি থেকেই তা দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও জিএসটি হারের বাস্তবায়ন এবং মন্ত্রিগোষ্ঠীর সুপারিশ অনুযায়ী করবিন্যাসের বদল ঘটেছে। সেই কারণে জিএসটি আদায়ও বেড়েছে। কঠোর কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার হারও অনেক কম।
এই ইতিবাচক তালিকায় উজ্জ্বল নাম বাংলার। কারণ, লাগাতার এই অর্থবর্ষে বেড়ে চলেছে বাংলার জিএসটি আদায়ও। সেপ্টেম্বর মাসে বাংলার জিএসটি আদায় হয়েছে ৩৭৭৮ কোটি টাকা। ঠিক ১০০ কোটি টাকা বেশি আগস্ট মাসের তুলনায়। জুলাই মাসে বাংলার আদায় ছিল ৩৪৬৩ কোটি টাকা। বিগত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় এই বছর বাংলার জিএসটি আদায় ১১ শতাংশ বেশি হয়েছে। উৎপাদনকারী রাজ্য হিসেবে সাধারণত জিএসটি সংগ্রহের প্রথম সারিতে থাকা রাজ্যগুলি হল মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাত, কর্ণাটক। এই কারণে এই রাজ্যগুলি জিএসটি ক্ষতিপূরণও বেশি পায়। কিন্তু জিএসটি পরিভাষায় উৎপাদনকারী রাজ্য না হওয়া সত্ত্বেও বাংলা কোভিডকালে জিএসটি সংগ্রহ বাড়িয়ে চলেছে।
সামগ্রিকভাবে দেশে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ আবার ১ লক্ষ কোটি টাকার সীমানা পেরিয়ে গেল। অর্থমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, যা অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোরই বার্তা। বাণিজ্য কিংবা আর্থিক লেনদেনের প্রবণতা গত তিন মাস ধরেই বেড়েছে। জুন মাসে জিএসটি আদায় কমে হয়েছিল ৯২ হাজার কোটি টাকা। বিগত তিন মাস ধরে অর্থাৎ দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের প্রতিটি মাসেই জিএসটি সংগ্রহ ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি হচ্ছে। অর্থমন্ত্রক মনে করছে, উৎসবের মরশুম শুরুর প্রাক্কালেই যেহেতু জিএসটি আদায় বিগত মাসগুলির তুলনায় বেশি হয়েছে, ফলে আগামী দু’মাস আশাব্যঞ্জক বাড়তে চলেছে এই সংগ্রহ। একইসঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন বৃদ্ধির এই বার্তার মাধ্যমে আশা করা হচ্ছে জিডিপি বৃদ্ধিহারও ঊর্ধমুখী হবে। পাশাপাশি বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। অর্থমন্ত্রক দাবি করেছে, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিএসটি আদায় হবে রেকর্ড পরিমাণ।