রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

১৫ নভেম্বর স্কুল খোলার সম্ভাব্য দিন হিসেবে ধরে জোরকদমে কাজ চলছে রাজ্যে

October 6, 2021 | 2 min read

পুজোর পরই স্কুল খোলার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্কুলপড়ুয়াদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাটা সময়ের অপেক্ষা। সেই সিদ্ধান্তের দিকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য সরকার। স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন, মেরামতি এবং স্যানিটটাইজেশনের জন্য টাকা মঞ্জুর করে দিয়েছে অর্থদপ্তর। সরকারের উপসচিবের তরফে স্কুলশিক্ষা কমিশনারকে এ কথা প্রশাসনিক বিজ্ঞপ্তি মারফত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই খাতে মোট অর্থের পরিমাণ ১০৯ কোটি ৪২ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৩৩ টাকা। পাবে ৬ হাজার ৪৬৮টি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৫ নভেম্বর স্কুল খোলার সম্ভাব্য দিন হিসেবে ধরে জোরকদমে কাজ চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রস্তুতির কাজ ঠিকঠাক চললে ১৫-১৬ নভেম্বর স্কুল চালু করে দেওয়া যাবে। তবে এখনই কোনও সরকারি ঘোষণার পথে তাঁরা হাঁটতে চাইছে না।

দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ স্কুল। তার মধ্যেই আছড়ে পড়েছে উম-পুন এবং যশের মতো দু’টি শক্তিশালী সাইক্লোন। ফলে বহু স্কুলেরই পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। জমেছে আগাছা, আবর্জনাও। পুজোর পর স্কুল খুলতে গেলে বেহাল স্কুলগুলির হাল ফেরানো জরুরি। তাই স্কুলগুলির থেকে স্কুলশিক্ষা দপ্তর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিস্তারিত জানতে চেয়েছিল। স্কুলকে পঠনপাঠন চালুর উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঠিক কত খরচ হতে পারে, তার একটি আনুমানিক হিসেবও চাওয়া হয়। পরে কোন খাতে কত পরিমাণ অর্থ সরকার খরচ করতে পারবে, তারও একটি হিসেব স্কুলগুলির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্কুলগুলি সব হিসেব-নিকেশ করে আনুমানিক ব্যয়ের পরিমাণ সরকারের কাছে পাঠিয়েছিল। অস্বচ্ছতার কোনও সম্ভাবনা রাখতে চায়নি রাজ্য। তাই জেলাশাসকদের বলা হয়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে জানান, স্কুলের দাবি সঠিক কি না। সেই রিপোর্ট সরকারের কাছে যাওয়ার পরই অর্থদপ্তর থেকে টাকা রিলিজের কথা জানানো হয়েছে।

রাজ্য সরকারের এই অর্থ সমগ্র শিক্ষা মিশনের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে স্কুলগুলিতে। তবে স্কুলগুলি চাইছে, এই টাকা পুজোর অনেক আগেই চলে আসুক তাদের অ্যাকাউন্টে। না হলে কাজ সময়ে শেষ করা যাবে না। যে সব স্কুলের ক্লাসরুম, শৌচালয় ভেঙে গিয়েছে, বা পানীয় জলের পরিকাঠামোর বড়সড় ক্ষতি হয়েছে, সেগুলি সারাতে সময় লাগবে। একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, সহকারী জেলাশাসকদের দিয়ে মূল্যায়ন করাতে গিয়ে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। এখনই যদি টাকা হাতে না আসে, তাহলে পুজোর পরেই কাজ শেষ করা যাবে না।

বেসরকারি বহু স্কুল অবশ্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। বারাকপুরের সেন্ট অগাস্টিন স্কুল যেমন ৭ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত শারদোৎসবের আয়োজন করেছে। সেখানে নতুন অভিভাবকদের স্কুল ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা থাকবে। কারণ, সন্তানদের ভর্তির পরে তারা সেভাবে স্কুল দেখতেই পারেনি। অন্যদিকে, পিকনিক গার্ডেনের একটি বেসরকারি স্কুল ক্যাম্পাসে সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা নিচ্ছিল। তা জানাজানি হতেই বিতর্ক ছড়ায়। কারণ, স্কুলে পড়ুয়াদের আনার ব্যাপারে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সরকারের। দপ্তর অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal School, #School

আরো দেখুন