ফের বিতর্কে বিকাশ, মাইকে মন্ত্র নিয়ে ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতি
মহা অষ্টমীর রীতি হল মা দুর্গার চরণে অঞ্জলি দেওয়া। নতুন পোশাক পরে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া। সঙ্গে চলে মন্ত্রোচ্চারণ। সেই মন্ত্রোচ্চারণই এবার মাইকে শুনে চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সিপিআইএমের রাজ্যসভার সদস্য তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে সরাসরি অভিযোগ জানালেন নগরপাল সৌমেন মিত্রের কাছে। ফেসবুকেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। কেন অঞ্জলির মন্ত্র মাইক বাজিয়ে সকলকে শোনানো হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন এই প্রাক্তন মহানাগরিক।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি? মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনারকে আক্রমণ করে তিনি লেখেন, ‘এই শহরে নেই মহানাগরিক। আছে এক মুখ্যমন্ত্রী। অপরাধী মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কাছে নাগরিকদের কোনও বিশেষ আশা নেই। কিন্তু, এক নগরপাল তো আছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত। আইনের অনুশাসন রক্ষা করা যার প্রাথমিক কর্তব্য। তিনি কি বধির? মাইকে চলছে উন্মত্ত চিৎকার। শব্দদূষণ কথাটাই যেন অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রপাঠ ব্যক্তিগত আচরণের বিষয়। চিলচিৎকারে অবোধ্য কিছু শব্দ জোর করে শোনাতে হবে? সেটা কোন সংস্কৃতির অঙ্গ তা আমার জানা নেই। নগরপাল একটু নড়াচড়া করুন। কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করুন।’ এই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে এখন বিতর্ক তুঙ্গে।
তবে এই ধর্মাচার নিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের পাশেও দাঁড়িয়েছেন অনেক নেটিজেনরা। আবার বিপক্ষেও গিয়েছেন বিপুল মানুষ। কিন্তু নিজের অবস্থানেই দাঁড়িয়ে আছেন এই বামপন্থী আইনজীবী। সরাসরি রেকর্ড–ভাঙা ভোটে জেতা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নাগরিকদের আশা নেই বলে যে দাবি তিনি করেছেন তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। তাহলে এত ভোট পেতেন না তিনি।
যদিও এমন বিতর্ক প্রথম নয়। দুর্গোৎসব নিয়ে বাঙালির আবেগ সবসময় রয়েছে। মহা অষ্টমীর অঞ্জলি নিয়ে বাঙালির আবেগ সারাজীবনের। সেখানে এটাকে চিৎকার বলায় ক্ষুব্ধ নেটপাড়া। আগে কোভিড আবহে দুর্গাপুজো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলার পরই বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পুজো বন্ধ করার অভিযোগ তুলে গতবছর সোচ্চার হয়েছিলেন আম–বাঙালি। আর এবার এই অঞ্জলি নিয়ে করা মন্তব্য বিতর্কের সূত্রপাত করল বলে মনে করা হচ্ছে।