বেগতিক দেখে এখন আব্বাসের থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট
আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে নির্বাচনের সময়ে বোঝাপড়া হয়েছিল, নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরে সেই বোঝাপড়া আর নেই-তাই ফুরফুরা শরিফের পিরজাদার বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের দায়ও তাদের নয় বলে জানিয়ে দিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
এর আগে বাংলাদেশ নিয়ে আব্বাসের বক্তব্যের বিরোধিতা সুজন চক্রবর্তী করেছিলেন। সিপিএমের অবস্থান মঙ্গলবার আরও খোলসা করে দলের পলিটব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু বলেন, ‘আইএসএফ-র সঙ্গে ভোটের সময়ে বোঝাপড়া হয়েছিল। ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে, তাই সেই বোঝাপড়া আর নেই। তাই কেউ যদি প্ররোচনা সৃষ্টিকারী মন্তব্য করেন, তার দায় আমাদের নয়। বরং আমরা এই ধরনের মন্তব্যের বিরোধিতা করছি।’
নীলোৎপলের কথায় স্পষ্ট, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ক্রমেই আব্বাসের থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাইছে। সীতারাম ইয়েচুরিও কিছু দিন আগে কলকাতায় বলেছিলেন, ভোট শেষ, তাই জোট শেষ।
তবু আইএসএফ যেহেতু আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের তৈরি করা সংযুক্ত মোর্চার শরিক ছিল, তাই আব্বাসের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সিপিএম নেতাদের তৃণমূলের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও পরোক্ষে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে খোঁচা দিয়েছেন এই প্রসঙ্গে। এই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার সিপিএমের অবস্থান আরও এক বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন নীলোৎপল বসু।
সংযুক্ত মোর্চায় যে ইতি টানা হয়েছে, তা তাঁর বিবৃতিতেই স্পষ্ট। আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকির সঙ্গে মহম্মদ সেলিম-সহ সিপিএমের কিছু নেতা ভোটের পরেও যৌথ কর্মসূচি করলেও নীলোৎপলের কথায় স্পষ্ট, আব্বাস-অধ্যায়ে ইতি টানতেই চাইছে সিপিএম।