হিংসার ছবি টুইটারে পোস্ট করার জের, বাংলাদেশে ইসকনের ট্যুইটার হ্যান্ডল বন্ধ
বাংলাদেশে বিগত এক সপ্তাহ ধরে ধিক ধিক করে জ্বলেছে হিংসার আগুন। উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা চালানো হয়। বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে ভাঙচুর চালানো হয়। তছনছ করা হয় বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরও। আক্রান্ত হিন্দু মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল নোয়াখালির ইসকন মন্দির। সেই হিংসার ছবি টুইটারে পোস্ট করা হয়েছিল ইসকনের তরফে। রাস্তায় নেমেছিল ইসকন ও ইসকন অনুগামীরা। রাষ্ট্রসংঘে পর্যন্ত গিয়েছে ইসকন। এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশে তাদের ট্যুইটার হ্যান্ডল বন্ধ করার অভিযোগ করল ইসকন কর্তৃপক্ষ।
ইসকনের তরফে টুইটার কর্তৃপক্ষকে তোপ দাগা হয়েছে তাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করায়। কলকাতা ইসকনের সভাপতি রাধারমণ দাস বলেন, হিংসার খবর দেওয়ায় ইসকনের একাধিক টুইটার হ্যান্ডেল বন্ধ করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, বাংলাদেশে এখনও হিংসা বন্ধ হয়নি। তিনি একটি টুইট করে দাবি করেন যে ‘ইসকন বাংলাদেশ’ এবং ‘বাংলাদেশ হিন্দু ইউনিটি কাউন্সিল’ নামক দু’টি টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে রাধারমন দাস লেখেন, ‘ওরা আমাদের ভক্তদের মেরেছে, টুইটার আমাদের বাকস্বাধীনতাকে মারছে।’
দশমীর দিন বাংলাদেশের নোয়াখালিতে অবস্থিত ইসকনের একটি মন্দিরে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের অভিযোগ ওঠে। মন্দিরে কিছু জিনিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ করা হয় ইসকনের তরফে। মন্দিরে উপস্থিত ভক্তদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেন ইসকন মুখপাত্র। ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুও হয়।
সেই তাণ্ডবের ছবি টুইট করা হয় ইসকনের তরফে। এর পরই বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের আর্জি জানায় ইসকন কলকাতা। এই হিংসার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে রাস্তায় নামে ইসকন ও তার অনুগামী ভক্তরা। তবে তাণ্ডবের প্রতিবাদ করা ইসকনের অ্যাকাউন্ট কেন বন্ধ করা হয়েছে, এর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি টুইটার কর্তৃপক্ষ।