মাত্র দু’মাসে টেলিমেডিসিনে দেশে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা
মাত্র তিনমাস হল চালু হয়েছে। আর তাতেই টেলিমেডিসিন চিকিৎসায় সারা দেশে কামাল করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যদপ্তর। রোজকার টেলি কনসালটেশনে দেশে দু’নম্বর স্থানে রয়েছে এখন বাংলা। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত হওয়া মোট টেলি কনসালটেশনে দেশের মধ্যে বাংলা রয়েছে তিন নম্বরে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
বাংলায় বর্তমানে ২৩০০-র বেশি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চালু রয়েছে এই টেলিমেডিসিন পরিষেবা। করোনাকালে যানবাহন খরচ না করেই, দূরবর্তী হাসপাতালে না গিয়েই, নিজের গ্রাম বা নিকটবর্তী গ্রামের এইসব সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েই টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। দপ্তরের এক পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, ২৩১৩টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র বা আগেকার উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই পরিষেবা চললেও, শীঘ্রই তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে আরও অন্তত ১৭০০টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের সর্বশেষ খবর, দেশের সবক’টি রাজ্য মিলিয়ে ৯৪ লক্ষের বেশি মানুষ ই-সঞ্জীবনী আউটডোরের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৫২ লক্ষাধিক মানুষকে এইভাবে ই-কনসালটেশন দিয়ে এক নম্বরে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। অন্যদিকে, ১১ লক্ষ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষকে টেলি কনসালটেশন দিয়ে দু’নম্বরে রয়েছে কর্ণাটক। প্রায় ছয় লক্ষ (৫,৯৫,৬৮২) মানুষকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ডাক্তার দেখিয়ে বাংলা রয়েছে তিন নম্বরে। এখনও পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান মিলছে, তাতে বাংলার মোট রোগীদের ৬৭ শতাংশই মহিলা, ৩২.৯ শতাংশ পুরুষ।
মোট টেলি কনসালটেশনে যেখানে বাংলা রয়েছে তিন নম্বরে, সেখানে রোজকার চিকিৎসা পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে দেশে দু’নম্বরে। রোজ কমপক্ষে ১৮ হাজারের বেশি গ্রামীণ এলাকার মানুষ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে এভাবেই ডাক্তার দেখাচ্ছেন। ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের ১৮টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদেরও এই পরিষেবায় যুক্ত করা হয়েছে।
২ আগস্ট ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ নামে চালু হয় এই টেলি কনসালটেশন। যার কেন্দ্রীয় সরকারি নাম ‘ই-সঞ্জীবনী আউটডোর’। ধাপে ধাপে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে রাজ্যের ৬৮টি জায়গা থেকে পাঁচশোর বেশি চিকিৎসক এখন গ্রামবাংলার মানুষকে এই পরিষেবা দিচ্ছেন। অডিও বা শুধু শোনা এবং অডিও ভিডিও মোড বা ডাক্তারের কথা শোনা এবং তাঁকে দেখা—দু’ভাবেই পরিষেবা মিলছে। শুধু ডাক্তার দেখানোই নয়, ই-প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বিনামূল্যে ওষুধও মিলছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে।