শীত পড়তেই করোনার কাঁপন মাথাচাড়া দিচ্ছে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায়
শেষ হয়নি মহামারী। লড়তে হবে তামাম বিশ্বকে। মানতে হবে করোনার (Corona) সুরক্ষা বিধি। শীত পড়তেই করোনার কাঁপন মাথাচাড়া দিচ্ছে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলে। করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফে আশনি সঙ্কেত দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, হু। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে খুব শীঘ্র এই দুই অঞ্চল করোনার নতুন ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ইউরোপীয় অঞ্চলের সংক্রমণ অনেক বেশি উদ্বেগের—মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। এমনকী তাদের আশঙ্কা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কোভিড সংক্রমণে আরও পাঁচ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে শুধু ইউরোপীয় ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলে। হু’র ইউরোপীয় ডিরেক্টর হান্স ক্লুগ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের একথা বলেন। সংক্রমণের গতি এই হারে চলতে থাকলে আরও মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেই করুণ চিত্র সামনে আসবে।
পাঁচ লক্ষ আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হয়েছে। হুয়ের ইউরোপীয় অঞ্চলের ৫৩টি দেশ সম্পর্কেই এই শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ৫৩টির মধ্যেই রয়েছে মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশ। এই দুই অঞ্চল মিলিয়ে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭.৮ কোটি। এই সংখ্যাটি এশিয়া, ভূমধ্যসাগরীয়, আফ্রিকা ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মোট আক্রন্তের চেয়েও বেশি। গত সপ্তাহে বিশ্বে করোনায় যে পরিমাণ মৃত্যু হয়েছে, তার অর্ধেকই ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার দেশে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত চার সপ্তাহ ধরে ইউরোপে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। কারণ শীতের প্রকোপ বাড়তেই বাড়ির মধ্যেই নানা সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে। আবার বেশ কিছু দেশ করোনা বিধি শিথিল করেছে। ফল করোনার বাড়বাড়ন্ত। সে কথা উল্লেখ করে হুয়ের সতর্ক বার্তা, মহামারী এখনও শেষ হয়নি। সরকারের উচিত করোনা যুদ্ধে ঢিলা না দেওয়া। সেই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহার না কমানো। চালিয়ে যেতে হবে টিকাকরণ।
এরই মধ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জার্মানিতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ হয়েছে সে দেশে। স্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯৪৯। এর আগে একদিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছিল ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর। সেদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৭৭৭। কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। এই নিয়ে বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পান। দুর্বার গতিতে করোনার চতুর্থ ঢেউ এগিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেন তিনি।