ইংল্যান্ডকে হারিয়েও টি২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় দক্ষিণ আফ্রিকার
শেষ রক্ষা হল না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আপ্রাণ চেষ্টা করেও সেমিফাইনালে উঠতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। শনিবার তারা প্রথমে ব্যাট করে ১৮৯-২ তুলেছিল। নেট রান রেটের বিচারে সেমিফাইনালে উঠতে গেলে তাদের ইংল্যান্ডকে ১৩১ রানের মধ্যে আটকে রাখতে হত। সেই কাজে অসফল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিয়ে গিয়ে ১৭৯-৮ স্কোরে থামে ইংল্যান্ড। কাগিসো রাবাডার হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে ১০ রানে জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও লাভ হল না। ইংল্যান্ডের পাশাপাশি সেমিতে গেল অস্ট্রেলিয়াও। এই বিশ্বকাপে প্রথম বার হারল ইংল্যান্ড।
টসে জিতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক অইন মর্গ্যান ফিল্ডিং নেওয়ায় কিছুটা সুবিধাই হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। বড় রান তোলাই ছিল তাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে সফলও হয় তারা। ১৫ রানের মাথায় রিজা হেনড্রিক্সকে হারালেও দুরন্ত খেলছিলেন কুইন্টন ডি’কক এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। দু’জনেই চালিয়ে খেলে বড় রান তোলার লক্ষ্যে মন দিয়েছিলেন।
২৭ বলে ৩৪ করে ডি’কক ফেরার পর ডুসেনকে যোগ্য সঙ্গত দেন এইডেন মার্করাম। তিনি শনিবার ২৪ বলে অর্ধশতরান করেন, যা কেএল রাহুলের পরে এ বারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় দ্রুততম। উল্টোদিকে এক একসময় মার্করামকেও ছাপিয়ে যাচ্ছিলেন ডুসেন। অল্পের জন্য শতরান পাননি তিনি। ৬০ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন। মেরেছেন ৫টি চার এবং ৬টি ছয়। ২৫ বলে ৫২ করে অপরাজিত থাকেন মার্করাম।
ইংল্যান্ডও শুরুটা করেছিল ভাল ভাবে। তবে ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায় রান নিতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান ধরে জেসন রয়ের। তিনি অবসৃত আউট হন। তিনে নেমে মইন আলিও ২৭ বলে ৩৭ রানের ঝোড়া ইনিংস খেলে যান। উল্টোদিকে থাকা জস বাটলারও ২৬ রানে ফিরে যান। এই সময় কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ডের রান তোলার গতি। কিন্তু লিয়াম লিভিংস্টোন (২৮) এবং দাভিদ মালানে (৩৩) ফের ইংল্যান্ডের রান তোলার গতি অনেকটাই বাড়িয়ে দেন। কাগিসো রাবাডাকে একটি ওভারে পরপর তিনটি ছক্কা মারেন লিভিংস্টোন। দ্বিতীয় ছক্কাটির পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার সব আশা শেষ হয়ে যায়।
রাবাডা প্রতিশোধ নেন শেষ ওভারে এসে। প্রথম তিন বলে ফিরিয়ে দেন ক্রিস ওকস, মর্গ্যান এবং ক্রিস জর্ডানকে। তার বোলিংয়ের কারণেই প্রয়োজনীয় রান তুলতে পারেনি ইংরেজরা। তবে দিনের শেষে সেই প্রচেষ্টা কাজে লাগল না।