গান্ধীজির অহিংসা নীতি নিয়ে কঙ্গনার মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ প্রপৌত্র তুষার গান্ধীর
গান্ধী বিদ্বেষীরা যতটা ভাবছেন, একগালে চড় খেয়েও আরেক গাল বাড়িয়ে দেওয়া তার চেয়ে কঠিন কাজ। এভাবেই কঙ্গনা রানওয়াতের (Kangana Ranaut) মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) অহিংসা নীতির নেতিবাচক মন্তব্যের পাল্টা দিলেন গান্ধীজির প্রপৌত্র তুষার গান্ধী (Tushar Gandhi)।
কিছুদিন আগে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত দাবি করেন, ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছিল ২০১৪ সালে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) ক্ষমতায় এসেছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা পায়নি। ওটা ছিল ভিক্ষা। অভিনেত্রীর এমন মন্তব্যের পর বিতর্ক শুরু হয় গোটা দেশে। কঙ্গনার পদ্ম পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহলে। যদিও এরপরও দমে যাননি ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’। ইন্সটাগ্রামে মহাত্মা গান্ধীর সমালোচনা করে একের পর এক পোস্ট করেন কঙ্গনা। যেখানে গান্ধীজির প্রবাদ প্রতিম মন্তব্য ‘তোমার একগালে কেউ চড় মারলে আরেক গাল পেতে দেবে’ মন্তব্যটিকে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন। বলেন, “আপনারা নিজের হিরোকে বেছে নিতেই পারেন। তবে চড় খাওয়ার জন্য দ্বিতীয় গালও পেতে দেওয়া ভিক্ষেই, স্বাধীনতা নয়।”
এদিকে সম্প্রতি বিজেপি (BJP) সরকারের তীব্র সমালোচনা করে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন গান্ধীজির প্রপৌত্র তুষার গান্ধী। যাঁর শিরোনাম ‘গান্ধী বিদ্বেষীরা যতটা ভাবছেন, আরেক গাল বাড়িয়ে দেওয়া তার চেয়ে সাহসের কাজ।’ এই প্রবন্ধেই কঙ্গনা রানাওয়াতের মন্তব্যের উত্তর দিয়ছেন তুষার। লিখেছেন, “যাঁর বলছেন গান্ধীজি কেবলমাত্র আরেক গাল পেতে দিয়েছেন, তাদের এই বীরত্বকে অনুভব করার ক্ষমতাই নেই। ভিন্নধারার এই হিরোইজম তারা বুঝবেন না কখনই। কিন্তু আমরা তা ভুলব না কোনোদিন। সেই সময়কার ভারতীয়দের এই হিরোইজম বোঝার মতো মেধা ছিল। আসলে তারা প্রত্যেকেই ছিলেন হিরো।”
তুষার আরও লিখেছেন, “আরেক গাল বাড়িয়ে দেওয়া ভিতুর কাজ না, এর জন্য অনেক বেশি সাহসের প্রয়োজন হয়। তাঁরা হিরো? যাঁরা ব্যক্তিস্বার্থে, নিজেদের বাঁচাতে ক্ষমা ভিক্ষে করেছিলেন।”
নিজের প্রবন্ধে তুষার মনে করিয়ে দিয়েছেন, “নিজের দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যদি বাপুকে কেউ ভিখারি বলত তবে তা তিনি নির্দ্বিধায় গ্রহণ করতেন। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বাপুকে হাফনাঙ্গা ভিখারি বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই ফকিরের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছিল ভারতের ব্রিটিশ রাজ।”