দেড় ঘণ্টার জন্য ‘মার্কিন রাষ্ট্রপতি’ হলেন কমলা হ্যারিস
ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ইতিহাস গড়লেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস (Kamala Harris)। শারীরিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁকে অ্যানাস্থেশিয়া পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত বাইডেন সজ্ঞানে আসেন, ততক্ষণ প্রেসিডেন্ট পদে থাকলেন কমলা হ্যারিস। মোট এক ঘণ্টা ২৫ মিনিট আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন কমলা হ্যারিস। এই ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। শুক্রবার এভাবেই কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়।
হোয়াইট হাউজের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর কোলোনোস্কপির চিকিৎসা হয়। আর এর জন্য তাঁকে অ্যানাস্থেশিয়া পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর বাইডেনের জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত তাঁর চেয়ারের দায়িত্ব সামলান কমলা হ্যারিস। হোয়াইট হাউজের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট উইং-এর অফিস থেকে তিনি প্রেসিডেন্ট পদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময় ঠিকই একইভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছিল। ২০০২ এবং ২০০৭ সালে ঠিক একইভাবে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশেরও কোলোনোস্কপি হয়েছিল। তখনও ভাইস প্রেসিডেন্ট সাময়িক পর্বের জন্য তাঁর চেয়ার সামলেছিলেন।
জানা গিয়েছে, ৭৯ বছর বয়সী বাইডেনের কোলোনোস্কপির চিকিৎসা একবারেই রুটিন চেক আপের অংশ। উল্লেখ্য, বর্ষীয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন (Joe Biden) এই মুহূর্তে আমরিকার সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। ফলে ইতিমধ্যেই তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়েও সংশয় প্রকাশ শুরু হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কি কমলা হ্যারিস পরবর্তী নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন? এই জল্পনাও শুরু হয়েছে মার্কিন মুলুকজুড়ে।
তিনি আধা ভারতীয়, আধা জামাইকান। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগেই নজির গড়ে ফেলেছেন কমলা হ্যারিস। ৫৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক দেশের প্রধান দুই দলের মধ্যে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন হয়েছিলেন। আমেরিকার ২৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনও কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এই ক্যালিফোর্নিয়ার এই সেনেটর। ফলে বাইডেন তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিলে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাবে যুক্তরাষ্ট্র। এটা হবে আরও বড় রেকর্ড। সে ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলার সম্ভাবনাই সবচেয়ে উজ্জ্বল বলছেন পর্যবেক্ষকরা।