বছর শেষে ফের করোনা আতঙ্ক, নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
বছর শেষে ফের ফিরল করোনা আতঙ্ক। দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব শেষ হতে না হতেই ফের হাজির করোনার আর এক নতুন প্রজাতি। Delta varient-এর পর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ধান মেলা New Covid-19 Variant-কে নিয়ে উদ্বেগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন। New Corona variant B.1.1.529-এর নাম ‘Omicron’ রাখল WHO। এই নয়া ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক তালিকায় রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নয়া ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার সমস্ত প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নয়া প্রজাতি । এখনও পর্যন্ত SARS-CoV-2 PCR টেস্টে এই ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তবে এর দ্রুত জিনগত পরিবর্তন ঘটানোর প্রবণতা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গবেষকদের কপালে। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের টেকনিক্যাল অ্যাডাভাইসরি গ্রুপ অন ভাইরাস ইভোলিউশন (TAG-VE) বৈঠকে বসে। সেখানে নয়া ভ্যারিয়েন্ট B.1.1.529 ও এর চরিত্র নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি মাসের গোড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের গড় সংখ্যা ছিল ১০৬। সেখান থেকে বেড়ে বুধবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১২০০-এ। যার মধ্যে B1.1.529-তে সংক্রমিত ২২ জন। দেশে ফের করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত গতিতে বাড়ছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস’ (NICD)। ৯ নভেম্বর করোনার এক নমুনায় প্রথম ধরা পড়ে B.1.1.529 variant। ২৪ নভেম্বর এই নয়া প্রজাতির নিয়ে WHO-কে জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
মূলত গৌতেং, জোহানেসবার্গ এবং রাজধানী প্রেট্রোরিয়াতে করোনা সংক্রমণের হার অত্যধিক বলে NICD জানিয়েছে। নতুন করে সংক্রমণ যে সরকারের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে, সেকথা স্বীকার করে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতিটি গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে এবং দ্রুতহারে সংক্রমণ বাড়ার ঘটনা নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।’ পাশাপাশি এই ভ্যারিয়্যান্ট ভ্যাকসিনকেও ফাঁকি দিতে পারে বলে আশঙ্কা গবেষকদের একাংশের।