দেশ বিভাগে ফিরে যান

লখিমপুর কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারার অনুমতি আদালতের, চাপে বিজেপি

December 15, 2021 | 2 min read

উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুর খেরি (Lakhimpur Kheri) কাণ্ডে আরও অস্বস্তিতে শাসক বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবারই বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিটের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, লখিমপুরে কৃষক মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। পরে তাদের তরফে আদালতে আবেদন করা হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘খুনের চেষ্টা’র ধারা যুক্ত করার অনুমতি দেওয়া হোক। তাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছে আদালতও। যার ফলে অভিযুক্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধে এবার এই ধারাও যুক্ত হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রও। স্বাভাবিক ভাবেই, এর ফলে মুখ পুড়ল শাসক দলের।

মঙ্গলবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চিন্তা রাম সিটের আবেদনে সাড়া দিয়ে অনুমতি দেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা ‘অবহেলার কারণে মৃত্যু’র পরিবর্তে ৩০৭ ধারা তথা ‘খুনের চেষ্টা’র ধারা যোগ করার। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, দাঙ্গা, ধারাল অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গায় যোগ দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবারের নতুন ধারা যোগ হওয়ার ফলে আরও বিপাকে পড়লেন অভিযুক্তরা।

স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের ঠিক আগেই এই তথ্যকে সামনে রেখে কোমর বেঁধেছেন বিরোধীরা। অবিলম্বে অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখানোর সময় গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরি এলাকায় এসইউভি গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল চার কৃষকের। প্রথমে অভিযুক্তকে আটক না করা হলেও পরে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার পর আশিসকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

গত মাসেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল, তাতেও চাপে পড়েছিলেন অভিযুক্ত। স্পষ্ট বলা হয়েছে, ঘটনার দিন ওই লাইসেন্সড আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালিয়েছিল অভিযুক্তরা। যদিও কেউ গুলিবিদ্ধ হননি সেদিন। কৃষকদের অভিযোগ ছিল, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে মন্ত্রী-পুত্র ও তাঁর সঙ্গীর আগ্নেয়াস্ত্র থেকে। মন্ত্রীপুত্রের রাইফেল ও অঙ্কিতের পিস্তল থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন দু’জনেই। শেষমেশ ফরেনসিক রিপোর্টে কৃষকদের সেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছিল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Uttar Pradesh, #bjp, #Lakhimpur Kheri Violence

আরো দেখুন