দেশ বিভাগে ফিরে যান

নতুন বছরের প্রথম দিনই আতঙ্ক বাড়াল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণের গ্রাফ

January 1, 2022 | 2 min read

নতুন বছরের প্রথম দিনই আতঙ্ক বাড়াল দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ। একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ২২ হাজার ৭৭৫ জন। বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০৬ জনের। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ হাজার ৯৪৯ জন। এমনটাই জানাচ্ছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শনিবারের বুলেটিন। অন্যদিকে, আরও চওড়া হল Omicron-এর থাবা। এই মুহূর্তে দেশে Omicron আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৩১।

দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে মহারাষ্ট্রে। মোট ৪৫৪ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনার এই নয়া স্ট্রেন। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬৭ জন। মহারাষ্ট্রের পরই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫১। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ জন। এছাড়াও তামিলনাড়ু, গুজরাট, কেরালা, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশেও ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। এই মুহূর্তে তালিকায় ১১ নম্বর স্থানে রয়েছে পশ্চিবঙ্গ। এ রাজ্যে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১৭। তার মধ্যে নেগেটিভ রিপোর্ট এসে গিয়েছে তিনজন রোগীর।

দেশে রাতারাতি বাড়ল অ্যাক্টিভ কোভিড কেস। এই মুহূর্তে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৭৮১ জন। পাশাপাশি সুস্থতার হার ৯৮.৩২ শতাংশ।

দেশে ওমিক্রনে মৃত ২

এদিকে আতঙ্ক বাড়িয়ে দেশে দুই ব্যক্তির প্রাণ কাড়ল ওমিক্রন। মহারাষ্ট্রের পিম্পরির হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল এক ৫২ বছর বয়সী নাইজেরিয়া ফেরত ব্যক্তির। গত ১৩ বছর ধরে তিনি মধুমেহ অর্থাৎ ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যু শংসাপত্রে অবশ্য কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাক লেখা হয়েছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে NIV রিপোর্ট সামনে আসে। সেখানেই জানা যায়, তিনি Omicron এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুক্রবার ফের জস্থানের উদয়পুরে ৭৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, ২৫ ডিসেম্বর এই প্রবীণের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যায় তিনি ওমিক্রন পজিটিভ। তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে ১৫ ডিসেম্বর। ২১ ডিসেম্বর তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু, কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও করোনা পরবর্তী শারীরিক সমস্যা-নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।

ডেল্টা বনাম ওমিক্রন

গবেষকদের একাংশ দাবি করেছিলেন, ওমিক্রন ডেলটার থেকে অনেকটাই কম ভয়াবহ। এই ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্তদের দেহে সেভাবে বিশেষ উপসর্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, জানা যাচ্ছিল এমনটাই। কিন্তু, পরপর দুটি মৃত্যু ভয় ধরাচ্ছে। যাদের শরীরে কোমর্বিডিটি রয়েছে এবং প্রবীণদের জন্য কি তবে এই ভ্যারিয়্যান্ট বেশি ভয়াবহ? উঠছে প্রশ্ন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #covid 19, #Omicron, #omicron variant

আরো দেখুন