শরীরে ওমিক্রনের প্রভাব একেবারেই মৃদু, সংক্রামিত হচ্ছে না ফুসফুস, আশ্বাস বাণী এইমস প্রধানের
ডেল্টার তুলনায় শরীরে ওমিক্রনের প্রভাব একেবারেই মৃদু। ফুসফুসে নয়, এই নয়া স্ট্রেইন মূলত শ্বাসনালীর উপরের অংশে সংক্রমণ ঘটায়। কো-মরবিডিটি না থাকলে ওমিক্রন নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ নেই। এমনটাই দাবি করলেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর পরামর্শ, শুধুমাত্র আতঙ্কের বশে হাসপাতালের বেড দখলে ছুটবেন না। ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্তরা অনেক তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠছেন। গুলেরিয়ার মতোই আশার কথা শুনিয়েছেন খ্যাতনামা ভাইরোলজিস্ট ডাঃ গগনদীপ কাং। তাঁরও দাবি, অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় শরীরে ওমিক্রনের জটিলতা তৈরির ক্ষমতা কম। শিশুদের স্কুলে পাঠানোর পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেন তিনি। কারণ, করোনার ফলে শিশুদের দেহে গুরুতর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে না।
এক সাক্ষাৎকারে ডাঃ গুলেরিয়ার দাবি, ফুসফুসের বদলে শ্বাসনালীর উপরের অংশে ওমিক্রনের সংক্রমণ সীমাবদ্ধ থাকছে। সেই কারণেই আক্রান্তের শরীরে ডেল্টার মতো অক্সিজেনের মাত্রা কমতে দেখা যাচ্ছে না। তৈরি হচ্ছে না অন্যান্য গুরুতর উপসর্গও। সামান্য জ্বর, গলাব্যথা, গায়ে-মাথায় যন্ত্রণার মধ্যেই উপসর্গ সীমিত থাকছে। এধরনের কোনও উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন এইমস প্রধান। তাঁর সাফ কথা, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বুঝতে হবে, ডেল্টার জন্য অক্সিজেনের মাত্রা যেভাবে কমে যাচ্ছিল, ওমিক্রনে তা হচ্ছে না। তাই, কো-মরবিডিটি না থাকলে হোম আইসোলেশনেই জোর দিতে হবে। আতঙ্কের বশে হাসপাতালের বেড দখল করে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তথ্য বলছে, ওমিক্রনে আক্রান্তরা অনেক তাড়াতাড়ি সুস্থও হয়ে উঠছেন। গুলেরিয়ার আরও দাবি, এই নয়া সংক্রমণ মোকাবিলায় আমাদের দেশ আগের থেকে অনেক বেশি প্রস্তুত। এর দু’টি কারণ উল্লেখ করেছেন এইমস প্রধান। প্রথমত, টিকাকরণ ও প্রাকৃতিকভাবে জনসংখ্যার বড় অংশের মধ্যে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। ডবল ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে ৬০ শতাংশ মানুষের। দ্বিতীয়ত, পরিকাঠামোর দিক থেকেও এখন অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে ভারত। মেডিক্যাল অক্সিজেন প্লান্ট, আইসিইউ বেড থেকে ভেন্টিলেটর— সব ক্ষেত্রেই দেশ এখন অনেক বেশি প্রস্তুত। ভয় না পেয়ে বাইরে বেরনোর আগে সঠিকভাবে মাস্ক পরা, ভিড় এড়ানো ও হাত পরিষ্কার রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।