জানুয়ারির শেষেই দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ সর্বোচ্চতে পৌঁছবে, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে ডেল্টার প্রভাবে যে ভাবে গোটা ভারত জুড়ে সংক্রমণ বাড়াবা়ড়ি পর্যায়ে পৌঁছেছিল, এ বার ঠিক একই রকম ছবি দেখা যেতে পারে ওমিক্রনের কারণে। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছেন ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন-এর অধিকর্তা চিকিৎসক ক্রিস্টোফার মারে।
সর্বভারতীয় এক সাংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারে বলেন, “দু’মাসের মধ্যেই বিশ্ব জুড়ে ৩০০ কোটি মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হবেন। আর ওমিক্রনের এই সার্জ বা তরঙ্গে ভারতেও বিপুল সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হবেন। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ডেল্টার প্রভাবে।”
মারে আরও জানিয়েছেন, ওমিক্রনের প্রভাব চরমে পৌঁছবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে। তখন গোটা বিশ্বে দিনে সাড়ে তিন কোটি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হবেন। গত বছরের এপ্রিলে ডেল্টার প্রভাবে যে সংক্রমণ হয়েছিল, তার তুলনায় এ বার তিন গুণ বেশি মানুষ সংক্রমিত হবেন। তাঁর মতে, ভারতে ওমিক্রন সংক্রমণ চরম পর্যায়ে পৌঁছবে জানুয়ারির শেষের দিক থেকে ফেব্রুয়ারির শুরুতে।
মারের কথায়, “যে হেতু বেশির ভাগ মানুষের টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাই কোভিডের মৃদু উপসর্গ ধরা পড়বে। তবে ওমিক্রন যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। কোনও বিধিনিষেধই এ ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না।”
ভারতে সংক্রমণের যে ছবিটা উঠে আসছে তা চরম উদ্বেগের জায়গায় পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। এক লাফে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ৫৮ হাজারে পৌঁছেছে। বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও।