আড়াই লক্ষের দুয়ারে দেশের কোভিড সংক্রমণ, আজ মুখ্যমন্ত্রীদের শরণাপন্ন হবেন মোদী
ভয়াবহ থেকে আরও ভয়াবহ হচ্ছে দেশের কোভিড গ্রাফ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রীতিমতো উল্কার গতিতে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে অ্যাকটিভ কেস এবং পজিটিভিটির রেট। যেনতেন প্রকারেণ সংক্রমণের গতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো এবারেও ভেঙে পড়তে পারে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪১৭ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। আগের দিন যেখানে আক্রান্তের সংখ্যাটা ১৫ শতাংশ বেরেছিল, সেখানে এই আজ এই বিরাট বৃদ্ধি রীতিমতো উদ্বেগের। দেশের পটিজিভিটি রেট রাতারাতি বেড়ে হয়েছে ১৩.১১ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেটও বেড়ে হয়েছে ১০ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ৫ হাজার ৪৮৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৬২ জন।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩১ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৬২ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৬২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৮২৫ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৫৪ কোটি ৬১ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। এখনও পর্যন্ত দেশে ৬৯ কোটি ৭৩ লক্ষ মানুষ করোনার টিকা পেয়েছেন।
এদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই আজ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনা সেরেছেন তিনি। আজ মুখ্যমন্ত্রীদের কোভিড রুখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দিতে পারেন মোদি। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)।