কাল নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন
বুধবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন। যা নিয়ে তৃণমূল শিবিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পাঁচ বছর পরে হচ্ছে এই নির্বাচন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশ কিছুদিন নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। ফলে এবছর সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে। তৃণমূলের তরফে জানা গিয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে যাবে সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া। তার আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি পত্র সংগ্রহ করতে হবে ডেলিগেটদের। স্টেডিয়াম থেকেই এই কার্ড প্রদান করা হবে। মূলত সাংসদ, বিধায়ক, কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধি, জেলা পরিষদ, দলীয় পদাধিকারী, শাখা সংগঠনের প্রধানরা ডেলিগেট হবেন। এছাড়াও থাকবেন পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তবে জাতীয় কার্যকরী কমিটি নিয়ে কৌতুহল রয়েছে। এই কমিটির পরিধি বৃদ্ধি কিংবা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত হন কি না, সেটা নিয়েই আগ্রহ রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। এই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা তৈরি থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া, তদারকি করছেন তিনি। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গিয়েছে, সাংগঠনিক নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি চলছে পুরো মাত্রায়।নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তিনটি মঞ্চ করা হয়েছে। তিনটি মঞ্চ একেবারে পাশাপাশি। মূলমঞ্চে বসবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের শীর্ষস্তরের হাতেগোনা কয়েকজন নেতা থাকতে পারেন এই মঞ্চে। পাশের মঞ্চে বসবেন দলের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। অন্য একটি মঞ্চে সমাজের বিশিষ্ট মানুষজনের বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যেহেতু করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তাই শাসক দলের অনুষ্ঠানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগে একটানা বড় মঞ্চ হতো, এবার সেটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বসার প্রতিটি চেয়ারের মাঝে দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে। এছাড়াও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ফ্লোরে ডেলিগেটদের বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পাশাপাশি চেয়ারের মধ্যে ফাঁক রাখা হচ্ছে। আবার গোটা ফ্লোর জুড়ে চেয়ার রাখা হচ্ছে না। প্রবেশ ও প্রস্থানের গেটগুলির অংশ থেকে ভিতরে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা রাখা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের জন্য আলাদা একটি জায়গা করা হয়েছে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ভিতরের মূল মঞ্চ তেরঙা কাপড়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। মূলমঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকবে একটি ব্যানার। বিরাট সংখ্যক জমায়েত একেবারেই চাইছে না তৃণমূল। ফলে ডেলিগেট এবং পর্যবেক্ষকদের সংখ্যাটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের মাস্ক পড়ে আসা বাধ্যতামূলক। এদিন দেখা গিয়েছে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রস্তুতির যাবতীয় কাজ তদারকি করছিলেন বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ বক্সিরা। বৈশ্বানর বলেন, দলের সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বস্তরের কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। দলনেত্রী সেদিন ঠিক কী বার্তা দেন, সেদিকেই সকলের নজর রয়েছে।