বিক্ষুব্ধদের পিকনিক এবার বাঁকুড়ায়, চাপ বাড়ছে বিজেপির অন্দরে
পিকনিক রাজনীতি চলছেই। এবার বাঁকুড়ায় দলের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে পিকনিক করলেন বিজেপি বিধায়করা। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার মগরা এলাকায় ওই পিকনিক নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয়, জেলা কমিটি নিয়ে এদিনও সেখান থেকে বিষোদগার করেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। তিনি বলেন, প্যারাসুট থেকে নামিয়ে এনে যাদের বসানো হয়েছে, তারা আমাদের পছন্দ নয়। যাদের সাংগঠনিক কোনও ক্ষমতাই নেই, তাদেরই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা দলের বিরুদ্ধে নই। দলের অন্দরে যা গলদ আছে, আমরা আশাবাদী উচ্চ নেতৃত্বকে জানালে তার সমাধান হবে। এতবড় সংসারে ছোট-খাট সমস্যা হতেই পারে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মগরার পিকনিকে বিজেপির বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা, ওন্দার অমরনাথ শাখা, সোনামুখীর দিবাকর ঘরামিরা ছিলেন। এছাড়া কিছুদিন আগেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগ করা ছাতনার মণ্ডলের সভাপতি জীবন মণ্ডলও ছিলেন। যা ঘিরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে ওই বৈঠকে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতিরা ছিলেন না। একইভাবে দলের সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটির সদস্যরাও ছিলেন না বলে দাবি। অমরনাথবাবু বলেন, এদিন পিকনিকে নতুন, পুরনো সব ধরনের কার্যকর্তাদের সঙ্গে দেখা হয়। পিকনিকে বিক্ষুব্ধরা এসেছেন এমন নয়। তবে যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক স্তরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, তার সমাধান করাই আমাদের লক্ষ্য। উল্লেখ্য, বিজেপির জেলা সভাপতি ঘোষণার পরপরই দলের অন্দরে কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। এদিন পিকনিকে হাজির হওয়া তিন বিধায়কই সম্প্রতি দলীয় হোয়াটস গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন। সভাপতি বদল নিয়ে আগেই ওন্দার বিধায়ক সংবাদ মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এদিনও তিনি সরব হন। ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তবে নীলাদ্রিবাবু বলেন, এদিন মানকানালি অঞ্চলের তরফে এই পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে। দ্বন্দ্ব ভুলে এক ছাতার তলায় নীচে লড়াই করার ডাক দিয়ে এদিন পিকনিকের সঙ্গে সাংগঠনিক আলোচনা করা হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি বা অন্যান্য বিধায়করা ব্যস্ত থাকার কারণে এদিন পিকনিকে যোগ দিতে পারেননি।