যোগী রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা শুরু করল বিজেপি
যোগী রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা চালালো বিজেপি। উত্তরপ্রদেশসহ দেশের পাঁচ রাজ্য চলছে বিধানসভা নির্বাচন। গতকাল উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীনই উত্তপ্ত হল যোগী রাজ্য। ভোটের দিনেই তান্ডব শুরু করল বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।
উত্তরপ্রদেশ দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজ্য। হাথরাস থেকে ক্ষেরি; বারবার আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার প্রশ্নে শিরোনামে উঠে এসেছে বিজেপির গর্বের উত্তরপ্রদেশ। গণধর্ষণ থেকে শুরু করে আন্দোলনরত কৃষকদের চাপা দিয়ে মারা, বারবার মুখ পুড়েছে যোগী প্রশাসনের। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য পরিসংখ্যানও বলে দেয় ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ নয়।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনেই বেনজির হিংসার সাক্ষী থাকলে গোটা দেশ। বিরোধীদলের পোলিং এজেন্টের মৃত্যু পর্যন্ত হল। ঘটনাটি ঘটেছে বিক্রমপুর চকেরার থানা নিগোহী গ্রামে। পুলিশ-প্রশাসন সূত্রেই নির্বাচন পরবর্তী হিংসার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। সমাজবাদী পার্টির বুথ এজেন্ট সুধীর যাদবের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় স্বভাবতই উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বিজেপির এজেন্ট বীরেন্দ্র যাদব ভুয়ো ভোট দিতে গেলে তার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সমাজবাদী পার্টির বুথ এজেন্ট সুধীর যাদব। মৌখিক বচসা থেকে গুলিগোলা পর্যন্ত বিবাদ গড়ায়, তারপরেই গুলিবিদ্ধ হয়ে সমাজবাদী পার্টির এজেন্ট সুধীর যাদবের মৃত্য হয়। ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে।
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর নির্বাচনী শত্রুতার আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির এজেন্ট বীরেন্দ্র যাদবও গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে এ ঘটনায় স্পষ্ট হল উত্তরপ্রদেশ দখলে রাখতে মরিয়া বিজেপি উপলব্ধি করে ফেলেছে যে, উত্তরপ্রদেশের মাটিতে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। তাই রামরাজ্য জয় করতে হিংসাকেই হাতিয়ার করছে বিজেপি।