আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

৫০ বছর পর কানাডায় জরুরি অবস্থা

February 16, 2022 | 2 min read

করোনা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা ও বাধ্যতামূলক টিকাকরণ বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত কানাডা। বেশ কয়েক সপ্তাহ কাটলেও পিছু হটতে নারাজ বিক্ষোভরত ট্রাকচালকরা। তাই এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে বাবার মতোই জরুরি অবস্থা জারি করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দিন কয়েক আগেই আন্দোলন থামাতে কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো সোমবার প্রশাসনকে আরও ক্ষমতা দিতে ১৯৮৮ সালের ইমার্জেন্সি অ্যাক্ট জারি করলেন প্রধানমন্ত্রী। কেন এই কঠোর পদক্ষেপ, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ট্রুডো। প্রধানমন্ত্রীর কথায়,‘ কানাডাবাসীর নিরাপত্তা, তাদের চাকরি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি সকলের আস্থা সুনিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’ ট্রুডো জানিয়েছেন, এর ফলে আদালতের নির্দেশ ছাড়াই একাধিক পদক্ষেপ নিতে পারবে ব্যাঙ্ক ও প্রশাসন। সেক্ষেত্রে কোর্ট অর্ডার ছাড়াই আন্দোলনে আর্থিক মদতে যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা যাবে। পাশাপাশি, অবরোধ সরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার, অবরোধ সরাতে ট্রাক বাজেয়াপ্ত করার জন্য অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আধিকারিকদের। আগামী ৩০ দিন জমায়েত, দল বেধে যাতায়াত ও নির্দিষ্ট কোনও এলাকা ব্যবহারের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। তবে আপাতত সেনা নামানো হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন ট্রুডো। জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি জেল ও বড় অঙ্কের জরিমানার হুঁশিয়ারি দিলেও পিছু হটতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। ট্রাকচালকদের বক্তব্য, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।

উল্লেখযোগ্য হল, কানাডার ইতিহাসের এই নিয়ে দ্বিতীয়বার যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি না হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ১৯৭০ সালের অক্টোবরে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন জাস্টিনের বাবা তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী পেরি ট্রুডো। অর্থাত্, ৫০ বছরের ব্যবধানে পৃথক দুই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একই পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন বাবা-ছেলে। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন জাস্টিন। তারপর টিকা ও করোনা বিধি-নিষেধ বিরোধী আন্দোলনে এই প্রথম কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তিনি। বেগতিক দেখে সপ্তাহখানেক আগে পরিবার সহ প্রধানমন্ত্রীকে গোপন আস্তানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একটানা বিক্ষোভ ও অবরোধে সীমান্তপার ব্যবসাও ধাক্কা খেয়েছে। বিক্ষোভের প্রভাব পড়েছে সাধারণ জনজীবনেও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Canada, #Covid Restrictions

আরো দেখুন