গ্রূপ ডি নিয়োগ মামলায় এখনই সিবিআই তদন্ত নয়, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের
দুপুরে সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পর সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী দু’সপ্তাহ সিঙ্গল বেঞ্চ স্কুলে গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগের দুর্নীতির মামলার কোনও শুনানি করতে পারবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলে গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগের দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ যে কমিটি গঠন করেছিল, তাও ভেঙে দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। তদন্ত কমিটির কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেন।
সেই নির্দেশের পরই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। কয়েক ঘণ্টা পর সেই মামলার শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে আগামী দু’সপ্তাহ সিঙ্গল বেঞ্চ স্কুলে গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগের দুর্নীতির মামলার কোনও শুনানি করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের ‘রায় সীমা অতিক্রম করেছে, যা বিচারবিভাগীয় শৃঙ্খলা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে গিয়েছে। যেটি পালন করার প্রয়োজন আছে।’
গত সপ্তাহে স্কুলে গ্রুপ ‘ডি’ বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘গ্রুপ ডি নিয়োগে আকাশছোঁয়া দুর্নীতি হয়েছে।’ সেই পরিস্থিতিতে নিয়ম না মেনে যে ৫৭৩ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁরা এতদিন যে বেতন পেয়েছেন, তাও ফেরত দিতে হবে। জেলা স্কুল পর্যবেক্ষকদের (ডিআই) সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের যে সুপারিশ করেছিল রাজ্য সরকার, তাতে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের পর প্যানেল তৈরি করে দেয় কমিশন। অভিযোগ ওঠে, ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠেছিল, বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল ২৫ জনকে। পরে দাবি করা হয়েছিল, আরও অনেক প্রার্থীকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।