গণতন্ত্র কীভাবে চলবে বোঝাতে নেহরুকে উল্লেখ করলেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হেইসেন লুং
গণতন্ত্র কীভাবে চলবে, কী হবে তার কার্যপ্রক্রিয়া তা বোঝাতে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর নাম করলেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হেইসেন লুং।
একই সঙ্গে এও বললেন, আজ সেই ভারতেই লোকসভার অর্ধেকের বেশি সাংসদের নামে ফৌজদারী মামলা চলছে।
লি বলেন, বেশিরভাগ দেশের জন্ম এবং শুরু হয় উঁচুদরের মতাদর্শ, মহান মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম এবং দশকের পর দশক পেরনোর পর পরিস্থিতি বদলায়। তিনি আরও বলেন, ‘শুরুটা হয় আবেগের সঙ্গে। যে নেতারা লড়াই করেছিলেন, স্বাধীনতা এনেছিলেন তাঁরা সবাই প্রায় ব্যতিক্রমী মানুষ। তাঁদের মধ্যে থাকে সাহস, সংস্কৃতি বোধ। তাঁরা অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে তবেই জনগণের, দেশের নেতা হন। তাঁরাই ডেভিড বেন-গুরিয়ন, জওহরলাল নেহরু। আমাদেরও তেমন নেতা আছেন।’
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী এরপরেই বলেন, সময়ের সঙ্গে সবকিছু বদলায়, পাল্টায় রাজনীতিও। রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধায় ভাটা পড়ে। কিছুদিন পর মনে হয়, এটাই স্বাভাবিক, এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। তাই মানের অধঃপতন হয়, বিশ্বাসে ক্ষয় হয়, আরও অবনতি ঘটে দেশের। লি বলেন, আজকের অনেক রাজনৈতিক সিস্টেম দেখলে তার প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের সঙ্গে মেলানো যায় না। দু’ বছরে চার বার নির্বাচনের পরেও বেন-গুরিয়নের ইজরায়েলে সরকার গঠন হতে পারে না। এদিকে নেহরুর ভারতে, মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী অর্ধেকের বেশি লোকসভার সাংসদের নামে ফৌজদারি মামলা চলছে। তার মধ্যে রয়েছে খুন এবং ধর্ষণের মামলাও।
প্রসঙ্গত, লি ইয়েসেন লুংয়ের বক্তব্যের একখণ্ড অংশের ভিডিও টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ। এদিকে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য আদৌ ভালভাবে নেয়নি ভারত সরকার। নেহরুকে নিয়ে বক্তব্যে কিছু বলার না থাকলেও এই সময়ে লোকসভার অর্ধেকের বেশি সাংসদের নামে মামলা চলছে মন্তব্যটিতে ক্ষুব্ধ নয়া দিল্লি। এই নিয়ে খুব দ্রুতই সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বোঝাপড়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রের এক সূত্র।