আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

ইউক্রেন সংঘাত চরমে! বিদ্রোহী অধ্যুষিত দুই এলাকা ‘স্বাধীন’ ঘোষণা পুতিনের

February 22, 2022 | 2 min read

ইউক্রেন অভিযানের লক্ষে আরও একধাপ এগলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের  রুশপন্থী বিদ্রোহী অধ্যুষিত দোনেৎস্ক ও লুগানস্ককে স্বাধীন ঘোষণা করল ক্রেমলিন। কূটনৈতিক মহলের মতে, এই দুই অঞ্চলের স্বাধীনতা ঘোষণা করে ইউক্রেন আক্রমণের সম্ভাবনাকেই আরও তীব্র করলেন পুতিন। 


এর আগে সামরিক মহড়া শেষের পরেই ইউক্রেনের উত্তর সীমান্ত থেকে সরানো হবে সেনা। দাবি করেছিল রাশিয়া। আনুষ্ঠানিকভাবে গত রবিবার শেষ হয়েছে মহড়া। তারপরেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। উল্টে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে মস্কো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিকারিকদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে ইউক্রেন আক্রমণের পথে আরও এক কদম এগিয়েছে রাশিয়া। যা রক্তচাপ বাড়িয়েছে ইউক্রেনের। শান্তির প্রত্যাশায় রাজধানী কিয়েভের গোল্ড ডুমড গির্জায় প্রার্থনায় বসেছেন হাজার হাজার মানুষ। গোটা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশ্চিমী দুনিয়াও। যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতে গতকালই মধ্যস্থতায় নামেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ। এর পরেই আমেরিকা জানিয়েছে, ইউক্রেন আক্রমণ থেকে বিরত থাকলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘নীতিগতভাবে’ বৈঠকে বসতে রাজি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুদ্ধ এড়াতে কূটনীতির উপরেই ভরসা রাখছে আমেরিকা। যদিও কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সমাধানের আশা দেখছেন না পুতিন।


সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ইউরোপের কোনও একটি স্থানে বৈঠকে বসতে পারেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।  বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈঠকের জন্য রাশিয়া এমন একটি সময় বেছে নিয়েছে, যখন সামরিক মহড়া প্রায় শেষের দিকে। গত রবিবারই ইউক্রেনের প্রতিবেশী বেলারুশে সেনা মহড়া শেষ হয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রও মজুত রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের আশঙ্কা, এই সেনাকে ব্যবহার করে কিয়েভ দখল করতে পারে মস্কো।


প্রথম থেকেই রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। মস্কো অবশ্য জানিয়েছে, ইউক্রেন আক্রমণের কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের। পাল্টা রাশিয়ার দাবি, সীমান্তে মর্টার হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনই। ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস এক বিবৃতিতে বলেছে, সোমবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে সীমান্তের রোস্টভ এলাকায় হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। এই হামলায় এফএসবি’র একটি অফিস ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। অবশ্য কেউ হতাহত হননি। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই এই ঘটনা যুদ্ধের সম্ভাবনাকে একধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে বলে মত আন্তর্জাতিক মহলের। তাঁদের আশঙ্কা, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধাতে প্রয়োজনে ভুয়ো হামলা চালাতে পারে রাশিয়া-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#russia, #Vladimir Putin, #ukraine

আরো দেখুন