ইউক্রেন আক্রমণের নিন্দায় সরব কিংবদন্তি রুশ দাবাড়ু ও ফুটবলাররা
ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার সেনা অভিযানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাশিয়ার কিংবদন্তি দাবাড়ু গ্যারি কাসপারভ। তবে শুধু তিনিই না, বিশ্বের এক নম্বর রুশ টেনিস তারকা দানিল মেদভেদেভও সওয়াল করলেন শান্তির পক্ষে। ফুটবল মাঠেও ধরা পড়ল যুদ্ধবিরোধী দৃশ্য। ইউরোপা লিগের ম্যাচে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিলেন বার্সেলোনা এবং নাপোলির ফুটবলাররাও।
রাশিয়ার কিংবদন্তি দাবাড়ু কাসপারভ বরাবর পুতিনের বড় সমালোচক। তিনি বলেছেন, যাঁরা রাশিয়ান প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই এখন লজ্জা পাচ্ছেন পুতিনের (Ukraine-Russia Conflict) আসল চেহারা দেখে। তিনি আরও বলেছেন, ২০১৪ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়া যত ডলার রোজগার করেছে, যত ইউরো রোজগার করেছে, সব করেছে দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে। “নিজের সব সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে মিলে এই কাজ দিনের পর দিন করে গিয়েছেন পুতিন। এতে সাধারণের তো কোনও উপকার হয়ইনি, উলটে যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করে ইউরোপের সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে,” টুইটারে লেখেন কাসপারভ।
দাবার দ্রোণাচার্য কাসপারভ এখন আর রাশিয়ায় (Russia) থাকেন না। ২০১৪ সালের পরই তিনি চলে গিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ায়। আর পুতিনকে একটা টুইটের মাধ্যমে আক্রমণ করে রেহাই দেননি কাসপারভ। আরও চাঁচাছোলাভাবে বাকি বিশ্বকে শুনিয়ে লিখেছেন, “এখন তো তোমরা বুঝতে পারছ, কোন দৈত্য তৈরি করেছিলে। এবার যাও, ইউক্রেনকে সাহায্য করে নিজেদের তৈরি করা দৈত্যের বিরুদ্ধেই লড়ো। মনে রেখো, এই পরিস্থিতি থেকে পিছু হঠার কোনও জায়গা নেই। আমি আশা করব যারা এতদিন পুতিনের কীর্তিকলাপ দেখেও না দেখে, আমল না দিয়ে, তাঁকে তুষ্ট করে চলছিল, আজ তাদের কিছুটা হলেও লজ্জা হবে। আমি বলব, অন্তত এবার কিছু করে পুতিনকে থামানোর বন্দোবস্ত করো।”
মেদভেদেভ (Daniil Medvedev) বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা হয়ে ওঠার দিনই ইউক্রেনের উপর হামলা করেছে রাশিয়া। পুতিনের অবস্থানে তাই মন খারাপ তাঁর। তিনি সকলকে শান্তির বার্তা দিয়ে, ইউক্রেনের উপর হামলার নিন্দা করেছেন। বৃহস্পতিবার বার্সেলোনার (Barcelona) বিরুদ্ধে দিয়েগো মারাদোনা স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছিল নাপোলি। সেখানেই ফুটবলারদের হাতে দেখা যায় একটি ব্যানার, যেখানে লেখা ‘যুদ্ধ থামাও।’
এদিকে সংঘাতের জেরে মস্কো থেকে সরে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (UEFA Champions League) ফাইনাল। আগামী ২৮ মে যে ফাইনাল মস্কোয় হওয়ার কথা ছিল। তা এবার হবে প্যারিসে। রাশিয়ার বর্তমান অবস্থান দেখার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।