দেশে নিম্নমুখী করোনা গ্রাফ, কমছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা
এখনও বিদায় নেয়নি করোনা। ওমিক্রনের থেকেও বেশি সংক্রমক স্ট্রেন হানা দিতে পারে। ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তবে শক্ত হাতেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা রুখে দিতে কার্যত সফল হয়েছে ভারত। দেশজুড়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। ছন্দে ফিরছে জনজীবন। কোভিড গ্রাফই সেই প্রমাণ দিচ্ছে। সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৯ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা ছিল ১৩ হাজারের বেশি। অনেকটা কমল অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২১ হাজার ৮৮১। অ্য়াকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.২৮ শতাংশে। এই মুহূর্তে ভারতে করোনা পজিটিভিটি রেট কমে ১.০১ শতাংশ। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ। দিল্লির সরকার যেমন সমস্ত কোভিডবিধি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সোমবার থেকে উঠে যাচ্ছে নাইট কারফিউও। তবে সামান্য চিন্তায় রাখছে মহারাষ্ট্রের কোভিড গ্রাফ।
বিধিনিষেধ জারি করে এবং টিকাকরণে (Corona Vaccination) জোর দিয়েই সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। একটু একটু করে কমছে দেশের মৃত্যুহারও। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫৫ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৮১ জন।
পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২২ লক্ষ ৭০ হাজার ৪৮২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৫৯৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫২ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৭৭ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ২৮ লক্ষের বেশি। টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ১১ লক্ষের ৩৬ হাজার ১৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।