রুশ আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনী
মাত্র ৯ বছর আগেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে তিনি ছিলেন পড়ুয়ার বেঞ্চে। আর আজ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাস্তায় তাঁকে দেখা গেল হাসিমুখে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি আর কেউ নন, ইউক্রেনের (Russia-Ukraine Conflict) সাংসদ সভিয়াতোস্লাভ ইউরাশ। দেশরক্ষার লড়াইয়ে বুকচিতিয়ে শত্রুপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়াতে প্রস্তুত তিনিও।
রুশ বাহিনী আক্রমণ করতেই প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, দেশরক্ষায় যাঁরা এগিয়ে আসবেন তাঁদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। তাতে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন বহু সাধারণ নাগরিক। শুক্রবার ইউক্রেন সরকার তাঁদের হাতে ১৮ হাজার অস্ত্র তুলে দিয়েছে। কিন্তু, যুদ্ধে কি প্রাণ দেবে শুধু সেনা আর আমজনতা! তাই সেনা ও জনতার মনোবল বাড়াতে লড়াইয়ের ময়াদানে নেমেছেন রাজনৈতিক নেতা, সাংসদরাও। তাঁদের মধ্যেই একজন ছাব্বিশের তরুণ ইউরাশ।
“আমরা ইউরোপের সবচেয়ে বড় জাতি। আমরা ৪ কোটি মানুষের একটি জাতি। রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে আমরা অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকব না। আমাদের যা কিছু আছে তা নিয়েই আমরা লড়াই করব। বিশ্ব আমাদের যা সহায়তা দেবে তাও আমরা গ্রহণ করব,” বলছেন ইউক্রেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ। ইউরিশ ‘সার্ভেন্ট অফ দ্য পিপল’পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৩ সালে কিছুদিনের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। পরে আন্দোলন শুরু হলে তিনি দেশে ফিরে যান।
ইউক্রেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সাংসদের কথায়, এটা ইউক্রেনের একার লড়াই নয়। রাশিয়া যেভাবে একের পর এক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে, সেই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আইন টিকিয়ে রাখার লড়াই এটা। রাইফেল হাতে ইউরাশের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। তিনি এখন ইউক্রেনের যুবসমাজের অনুপ্রেরণা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্দুকধারী আরেক মহিলা সাংসদের ছবিও ছড়িয়েছে। তিনি কিরা রুডিক। টুইটারে ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “আমি কালাশনিকভ চালাতে শিখেছি এবং হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। শুনতে অদ্ভুত লাগছে। কেন না ক’দিন আগেও এসব আমার মাথায় ছিল না। আমাদের পুরুষদের মতোই আমরা নারীরাও এবার দেশের মাটিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত।”