ইউক্রেনকে বাঁচাতে সাধারণ মানুষের মতোই হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন সাংসদও
এ যেন এক অদ্ভুত সন্ধিক্ষণ! পুতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নেমেছেন ইউক্রেনের আম জনতা। নাম লেখাচ্ছেন প্রতিরোধ বাহিনীতে। দেশ রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে ইউক্রেনবাসী। দেশের অগণিত সাধারণ মানুষের মতোই হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন সংসদ কিরা রুডিক। তাঁর টুইট করা সেই ছবি এখন ভাইরাল। এই মহিলা রাজনীতিবিদ বলছেন, আশা জোগাচ্ছে হাতের এই কালাশনিকভ। এক টিভি সাক্ষাৎকারে রুডিকের দাবি, পুতিন তাঁর বাহিনীর প্রত্যাহার না করলে আমরা সবাই রুখে দাঁড়াব। দেশের এক ইঞ্জি জমিও ছাড়ব না। এজন্য গোটা ইউক্রেন তৈরি। রুশ বাহিনীকে ফিরতেই হবে। যাঁরা কিয়েভ ছেড়েছিলেন, তাঁরাও এখন ফিরে আসছেন। পুতিন কোনওভাবেই আমাদের রাজধানীর দখল নিতে পারবেন না। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীকে এতটা প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি পুতিন।
টুইটারে রুডিক লিখেছেন, কালাশনিকভ কীভাবে চালাতে হয়, তা শিখে ফেলেছি। অস্ত্র ধরতে তৈরি। কিন্তু, ক’দিন আগেও এসব ভাবনার অতীত ছিল। দেশের মাটি রক্ষায় নারী, পুরুষ সবাই আমরা এককাট্টা। পরে এক টিভি সাক্ষাৎকারে এই মহিলা এমপির দাবি, এই প্রথম হাতে অস্ত্র ধরা। যুদ্ধের শুরু থেকেই মনে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই রাগ একফোঁটাও কমেনি। রাশিয়া ও পুতিন কীভাবে ইউক্রেনের স্বাধীন থাকার অধিকার অস্বীকার করছে, কিছুতেই বুঝতে পারছি না। শুধুমাত্র এক উন্মাদ একনায়কের (পুতিন) নির্দেশে আজ এই অবস্থা আমাদের। নিজের শহর থেকে উৎখাত হতে হয়েছে। হুমকির মুখে পরিবারও। রাগ কিছুতেই যাচ্ছে না। আমার অধিকাংশ বন্ধুও হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন।
প্রথমবার অস্ত্র তুলে নেওয়ার অনুভূতি ঠিক কেমন? রুডিক বলেন, ভয় লেগেছে। কিন্তু একইসঙ্গে মনে শক্তির সঞ্চার হয়েছে। মনে হয়েছে, দেশকে রক্ষা করতে পারব। রাশিয়ার কোনও সেনা নিরস্ত্র অবস্থায় আমার সামনে এসে দাঁড়াবে না, এটাই আজ বাস্তব।