খারকিভ দখল হল না রুশ বাহিনীর, প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলল ইউক্রেনীয় সেনা
ইউক্রেন সেনার নিয়ন্ত্রণে চলে এল ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ। এদিনই খারকিভে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়ার সেনা। খারকিভে অবস্থিত গ্যাস পাইপলাইনও উড়িয়ে দেয় রাশিয়ার সেনা। এর জেরে খারকিভের আকাশে মাশরুম আকারের ধোঁয়ার মেঘ দেখা যায়। তবে দিনভর লড়াইয়ের পর রাশিয়ার সেনাকে ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেনের সেনা।
এদিন রাশিয়ার সেনা খারকিভে প্রবেশ করে প্রথমবারের মতো। সকালে আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ওলেগ সিনেগুবভ রাশিয়ার সেনার হামলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘রুশ শত্রুদের হালকা যান খারকিভ শহরে ঢুকে পড়েছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী শত্রুদের নির্মূল করছে।’ পরে বিকেল নাগাদ তিনি বলেন, ‘খারকিভ সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে।’ পাশাপাশি রাশিয়ার সৈনিকদের খুঁজে খুঁজে শহর থেকে বের করা হচ্ছে বলে দাবি করেন ইউক্রেনের কর্তা।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের উপর হামলার জেরে রাশিয়ার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক লেনদেনের ব্যবস্থা সুইফট থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই বেলারুশে বসে ইউক্রেনের সাথে আচোলনার কথা বলে। যদিও এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি জেলেনস্কিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চান। পুতিন ইউক্রেনের সেনার কাছে গণঅভ্যুত্থানের আহ্বানও জানান।
এদিকে মুখে আলোচনার কথা বললেও আজকেও ইউক্রেনে হামলা জারি রেখেছে রাশিয়া। আজ আরও দু’টি ইউক্রেনিয়ান শহর তাদের দখলে গিয়েছে বলে দাবি করল ক্রেমলিন। মস্কো রবিবার দাবি করে যে রাশিয়ার সেনা দক্ষিণ ইউক্রেনের শহর খেরসন এবং দক্ষিণ-পূর্বের বারদিয়ানস্ক শহর ‘পুরোপুরি’ দখল করেছে। এর আগে আজ সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপরও বোমা বর্ষণ করেছে রাশিয়ার সেনা। তবে কিয়েভের থেকে বেশ কিছুটা দূরেই আটকে পড়েছে রুশ সেনা। অপরদিকে খারকিভেও পিছু হটতে হল তাদের।