‘আজই যে ভাবে হোক শহর ছাড়ুন’, কিভের ভারতীয়দের বার্তা নয়াদিল্লির
বিপদ ঘণ্টা বাজাল ভারত। ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিভে এখনও যে সমস্ত ভারতীয় রয়ে গিয়েছেন, তাঁদের আজই কিভ ছাড়তে বলল নয়াদিল্লি। সাম্প্রতিক একটি সতর্কবার্তায় দিল্লি বলেছে, ‘ট্রেনে বা অন্য যে কোনও পদ্ধতিতে— যে ভাবে হোক আজই কিভ ছাড়ুন।
’মঙ্গলবারই রুশ হামলায় কিভের রাস্তায় মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয় ছাত্রের। তার কিছু পরেই ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে একটি টুইট ভেসে ওঠে নেটমাধ্যমে। চার লাইনের ওই টুইটটি রাজধানী কিভে থাকা ভারতীয়দের প্রতি ভারতীয় দূতাবাসের ‘পরামর্শ’। তাতে লেখা হয়েছে, ‘সমস্ত ভারতীয়, এমনকি ভারতীয় ছাত্রদেরও আজই এবং অবিলম্বে কিভ ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদি সম্ভব হয় তবে ট্রেনে। তা না হলে যে ভাবে সম্ভব, সে ভাবেই।’সোমবারই রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। এ দিকে, কিভের পথে প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রুশ সাঁজোয়ার বহরের ছবিও ধরা পড়েছে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে। সেই সব ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে রুশ পদাতিক বাহিনীর ট্যাঙ্ক, অস্ত্রবাহী গাড়ি, জ্বালানির গাড়ি এমনকি সেনাবাহী গাড়িও। কিভের উত্তর পশ্চিমের রাস্তায় সেনাবহরের ওই ছবি থেকে রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে অনুমান করেই ভারতীয়দের প্রতি তড়িঘড়ি সতর্কবার্তা জারি করেছে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস।
ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে কেন্দ্রের ‘অপারেশন গঙ্গা’ অভিযানে ইতিমধ্যেই আট হাজার ভারতীয়কে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও ১৬ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া আটকে রয়েছেন ইউক্রেনে। এঁদের অনেকেই ফেসবুক, টুইটারে নিজেদের পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন। কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন সেনাদের বাঙ্কারে। কেউ মেট্রো স্টেশনে, কেউ আবার প্রাণে বাঁচতে থাকছেন বম্ব শেল্টারেই। গত বৃহস্পতিবার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই পরিস্থিতি। মঙ্গলবার তাঁদেরই একজন খাবার কিনতে বেরিয়েছিলেন কিভের রাস্তায়। রুশ ফৌজের গোলাবর্ষণে তিনি নিহত হন।প্রসঙ্গত, ভারতীয় দূতাবাস সোমবারই কিভে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের কিভের রেলস্টেশনে আসতে বলছিল। সেখান থেকেই তাঁদের উদ্ধারপ্রক্রিয়া চালানো হবে বলেও জানানো হয়েছিল। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তনে বদলে যায় নিয়মমাফিক উদ্ধারের ব্যবস্থাও। মঙ্গলবারের এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই ভারতীয়দের হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাক রিপাবলিক-সহ ইউক্রেনের সীমানা লাগোয়া দেশগুলিতে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।