রাতে ঘুম হচ্ছে না ঠিক করে? এই উপায়ে মিটতে পারে সমস্যা
সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। স্কুল-কলেজ, অফিস, বাড়ির কাজ। ছোটাছুটি লেগেই থাকে। আর সব ঝক্কি সামলাতে হয় দুটো পা-কেই। দিনের শেষে অনেকেরই মনে হয়, পা যেন আর টানতে পারছে না। অবশ্য শুধু পায়ের নয়, শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তিও থাকে যথেষ্ট। তবে এই সমস্যা দূর করতে পারে মিনিট দশেকের পায়ের মাসাজ। নিয়মিত করতে পারলে শরীরের নানা রোগ ব্যাধিও দূর হবে, নিশ্চিত করে বলা যায়। প্রতীকী ছবি ৷
১) রক্ত সঞ্চালন বাড়বে: ইদানীং বাড়ি থেকেই অফিস সামলাচ্ছেন অনেকে। তাছাড়া ডিজিটাল জীবনে সবকিছুই স্মার্ট ফোনের ক্লিকে। ফলে বাড়ি থেকে খুব একটা বেরনো হয় না। এমন অলস জীবনযাত্রার ফলে পায়ে রক্ত সঞ্চালন ব্যাপকভাবে কমে যায়। মাসাজ করলে পেশির নড়াচড়া হবে। ফলে রক্ত প্রবাহ বাড়বে। প্রতীকী ছবি ৷
২) শরীরের টক্সিন: ব্যস্ত জীবনযাত্রায় মানুষ চাক আর না চাক, শরীরে অবাধে প্রবেশ করছে টক্সিন। আর তা জমা হয় হাত এবং পায়ে। মাসাজের ফলে যে ঘাম নির্গত হয়, তাতে জমে থাকা টক্সিন অনেকটা বেরিয়ে যায়। মনে রাখতে হবে, ত্বক টক্সিন বার করার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে। প্রতীকী ছবি ৷
৩)আঘাত প্রতিরোধে সাহায্য করে: পেশি শিথিল হয়ে পড়লে অল্পেই আঘাত লাগে। খেলাধুলো বা ব্যায়ামের সময় চোট পাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মাসাজের ফলে পেশির টিস্যু প্রসারিত হয়। রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে চোট-আঘাতের সম্ভাবনা কমে যায়। প্রতীকী ছবি ৷
৪) অবসাদ কমায়: বর্তমান জীবনযাত্রায় উদ্বেগ সকলের সঙ্গী। দুশ্চিন্তার কারণে অনেকের আবার মানসিক অবসাদেও ভোগেন। উদ্বেগ বা চিন্তা কমিয়ে মন শান্ত করতে পায়ের মাসাজ দারুণ উপকার দেয়। বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতিদিন পায়ের ম্যাসাজ করলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের আধিক্য কমে। প্রতীকী ছবি ৷
৫)পেশি পুনরুদ্ধার: দির্ঘক্ষণ জিমে গা ঘামালে অনেক সময় পেশিতে টান ধরে। একে চিকিৎসার পরিভাষায় ডিওএমএস বলা হয়। মাসাজের ফলে এই ব্যথা নিমেষে দূর হয়। শুধু তাই নয়, শরীর, মন চনমনে লাগে। প্রতীকী ছবি ৷
৬)অঙ্গবিন্যাস: অনেক সময় ভুল শোয়ার ভঙ্গীর জন্য পিঠ ও কোমরে ব্যাথা হয়। পায়ে নিয়মিত মাসাজ করলে নিতম্ব এবং পিঠের নিচের অংশের সমস্ত ব্যথা গায়েব হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি ৷
৭)এডিমা: শরীরের টিস্যুতে অতিরিক্ত ফ্লুইড জমা হয়ে গেলে যে পরিস্থিতির তৈরি হয় তাকে এডিমা বলা হয়। ফুলে যাওয়া টিস্যুর উপরে ত্বক উষ্ণ, নরম এবং টানটান হয়ে যায়। সাধারণত হাত এবং পায়ে এডিমা হয়ে থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এডিমা বেশি দেখা যায়। পায়ে মাসাজ এক্ষেত্রে দারুণ কাজ দেয়। প্রতীকী ছবি ৷
৮) পিএমএস: ঋতুস্রাবের সময় অনেকেই ব্যথা পান। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ দেয় পায়ের মাসাজ। যাঁরা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও উপকার মিলবে। নিয়মিত পায়ে মাসাজ করলে মাইগ্রেনের ব্যথা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। প্রতীকী ছবি ৷
৯) অনিদ্রা থেকে মুক্তি: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পায়ের তলায় মাসাজ করলে ঘুম ভাল হয়। ঘুমোনোর আগে মালিশ করলে এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে, সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হয়। তাই অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে এই কৌশল ব্যবহারে ভালো ফল মিলবে। প্রতীকী ছবি ৷
১০) গাঁটের ব্যাথার উপশম: বৃদ্ধ বয়সে অনেকেই গাঁটের ব্যথায় ভোগেন। নিয়মিত মাসাজ করালে এর থেকে নিরাময় মিলবে বলেই আশ্বাস দেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা থাকলে তার উপশমও ঘটায়। তবে এক্ষেত্রে পেশাদারদের হাতেই মাসাজ নেওয়া শ্রেয়। প্রতীকী ছবি ৷