উদ্ধারকাজের বদলে মোদীর ঢাক পেটাতে গিয়ে বিদেশের মাটিতে তিরস্কৃত ভারতের মন্ত্রী
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর কেটে গেছে এক সপ্তাহের ওপর। যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। বরং দিন দিন ঘনীভূত হচ্ছে অনিশ্চয়তার মেঘ। ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন প্রায় ১৬ হাজার ভারতীয়, যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী। অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে বেশ কিছু পড়ুয়াকে দেশে ফেরানো গেলেও, হাজার হাজার ছেলেমেয়ে এখনও দেশে ফেরার জন্যে মরিয়া হয়ে আছেন। ভারত সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা।
ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের পার্শ্ববর্তী দেশগুলির সীমান্তে পৌঁছে যেতে বলেছে ভারতীয় দূতাবাস। সেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে আনতে পাঠানো হয়েছে চার মন্ত্রীকে। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন অসামরিক বিমান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি ইতিমধ্যেই রোমানিয়া পৌঁছেছেন। কিন্তু সেখানে উদ্ধারকার্যের চেয়ে বেশি মোদী সরকারের ঢাক পেটাতে ব্যস্ত মন্ত্রীমশাই। আর তাতেই বেধেছে গোল।
রোমানিয়ায় আশ্রয় পাওয়া ভারতীয় পড়ুয়াদের সামনে স্বভাবসিদ্ধভাবে মন্ত্রী শুরু করেন নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সরকারের গুনগান। আর তাতেই ক্ষেপে ওঠেন রোমানিয়ার মেয়র। এসব কথা ছেড়ে কেন মূল কথায় যাচ্ছেন না মন্ত্রী, সে প্রশ্ন তোলেন মেয়র। মন্ত্রী কেন বলছেন না কবে, কীভাবে তারা দেশে ফেরাচ্ছেন ভারতীয়দের? পাল্টা জ্যোতিরাদিত্য বলেন, তাঁকে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হোক। এতে আরও রুষ্ট হয়ে রোমানিয়ার মেয়র মন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেন, ভারতীয় পড়ুয়াদের খাদ্য, আশ্রয়ের বন্দোবস্ত ভারত সরকার করেনি। বরং করেছে রোমানিয়া সরকার।
ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হন মন্ত্রী।
কেউ জ্যোতিরাদিত্যকে মোদী তনয় বলে কটাক্ষ করেছেন, তো কেউ আবার ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের ভূমিকাকে ‘ট্র্যাভেল এজেন্ট’- মতো বলে উল্লেখ করেছেন। সবার এক প্রশ্ন ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের সরাসরি উদ্ধারে কেন নির্লিপ্ত ছিল দেশের সরকার!
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে প্রভূত ক্ষোভ। যুদ্ধ শুরু হয়ে এতদিন কেটে গেলেও কেন ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা গেল না দেশে? প্রশ্ন তাদের। অন্যান্য দেশের সরকার, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুদ্ধ লাগার সপ্তাহখানেক আগেই ইউক্রেন ছাড়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু কেন শেষ মুহূর্ত অবধি অপেক্ষা করল ভারত সরকার? জানতে চাইছেন তারা।