আমেরিকার দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্রে প্রায় ২৮০টি রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংস, দাবি ইউক্রেন সেনার
৯৩ শতাংশ সফল! আমেরিকার দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে এমনই বলছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। ওই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম জ্যাভেলিন মিসাইল। ওই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা যায়। মার্কিন সাংবাদিক জ্যাক মারফি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৩০০ বার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেনের সেনা। ধ্বংস হয়েছে ২৮০টি ট্যাঙ্ক। তাই ইউক্রেনের সেনা বলছে, জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র ৯৩ শতাংশ সফল।
কারা বানিয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র?
দুটি সংস্থা যৌথভাবে জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। তারা হল রেথিওন মিসাইলস এন্ড ডিফেন্স এবং লকহিড মার্টিন। ওই ক্ষেপণাস্ত্র কোনও ট্যাঙ্কের উপরি ভাগ লক্ষ্য করে ছুঁড়তে হয়। ট্যাঙ্কের দু’পাশে যে লোহার বর্ম থাকে, তা যথেষ্ট চওড়া। কিন্তু তার উপরিভাগের লুক্কা হয় অপেক্ষাকৃত দুর্বল। তাই ওই জায়গাটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লে ট্যাঙ্ক বিধ্বস্ত হয়।
জ্যাক মারফি বলেন, “২০১৮ সালে প্রথমবার ইউক্রেনে ওই ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় আমেরিকা। তার দাম ছিল সাড়ে সাত কোটি ডলার।” মার্কিন সেনা অফিসাররা বলেন, রাশিয়া বুঝতে পেরেছে, ইউক্রেনের সেনার হাতে আছে জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র। তাই তাদের টি-সেভেন্টি টু ট্যাঙ্কগুলি আর আগের মতো আক্রমণ করছে না।
জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য একজন সৈনিকই যথেষ্ট। যদিও বাড়তি লঞ্চ টিউব ব্যবহার করার জন্য আরও কয়েকজনকে দরকার হয়। রাশিয়ার ট্যাঙ্কগুলি ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ঢুকে জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্রের মুখে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ট্যাঙ্কের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পদাতিক সেনা।
ইউক্রেনে আক্রমণ করার তিনদিন পরে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বিদেশ দপ্তরকে নির্দেশ দেন, ইউক্রেনে ৩৫ কোটি ডলারের অস্ত্রশস্ত্র পাঠাতে হবে। সেইমতো জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান বিধ্বংসী স্ট্রিনজার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হয়।