রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অনলাইনে লক্ষ্মীলাভ, ৪ মাসেই রাজস্ব আদায় ২০ কোটির বেশি

March 10, 2022 | 2 min read

বিনিয়োগ টানতে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক ছাড়পত্র এখন দেওয়া হয় সম্পূর্ণ অনলাইনে। পাশাপাশি বিল্ডিং প্ল্যান মঞ্জুর ও মিউটেশনের কাজও এই ব্যবস্থাতেই হয়। এটি পুজোর পর চালু হয়েছে রাজ্যের পুর এলাকাগুলিতে। এতে বিনিয়োগকারীদের যেমন সুবিধা হয়েছে, তেমনি বেড়েছে রাজস্ব আদায়। প্রথম চার মাসেই এই খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২০ কোটি টাকার বেশি। 

পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রের খবর, কোন খাতে কত রাজস্ব আদায় হচ্ছে আগে তার সামগ্রিক হিসেব পাওয়া কঠিন হতো। অনলাইন পরিষেবা শুরু হওয়ায় যেমন বিনিয়োগকারীদের সুবিধা হয়েছে, তেমনি রাজস্ব আদায়ের খুঁটিনাটি এখন আধিকারিকদের নখদর্পণে। তাই রাজস্ব ফাঁকির আশঙ্কাও দূর হল। মনে করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা। 

অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ১২৫টি পুর এলাকাতেই। আর একই পদ্ধতিতে বিল্ডিং প্ল্যান মঞ্জুর ও মিউটেশনের কাজ শুরু হয়েছে ৮০টির মতো পুরসভায়। বাকি পুরসভাগুলিতে এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণের কাজ চলছে। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয় ‘রিয়েল টাইমের’ ভিত্তিতে। অর্থাৎ আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে চলে আসে ট্রেড লাইসেন্সের শংসাপত্র। 

অনলাইনে গত চার মাসে ৬৭,৭২৮টি ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ই-গৃহনকশা পোর্টালের মাধ্যমে বিল্ডিং প্ল্যান মঞ্জুর করা হয়েছে ৬৬৬টি। আর অনলাইনের মাধ্যমে মিউটেশন হয়েছে ১,১১৩টি। অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স সবথেকে বেশি দেওয়া হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ও দার্জিলিং জেলায়। উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ১৯,৯৪৪টি ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সংখ্যাটি দার্জিলিং জেলায় ৭,৯১৮টি। পুরসভাগুলির মধ্যে দক্ষিণ দমদমে ২,৮০৪টি ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শিলিগুড়িতে এর সংখ্যা ৯,৩০০ ছাড়িয়েছে। অনলাইনে সবথেকে বেশি বিল্ডিং প্ল্যান মঞ্জুর করা হয়েছে নৈহাটিতে—৭৬টি।‌ সর্বোচ্চ মিউটেশন হয়েছে ২১১টি—কামারহাটিতে। 

অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বিল্ডিং প্ল্যান মঞ্জুর ও অনলাইনে মিউটেশনের দরুন আদায় হয়েছে যথাক্রমে ২ কোটি ও দেড় কোটি টাকা। সমস্ত পুরসভায় অনলাইন বিল্ডিং প্ল্যান মঞ্জুর ও মিউটেশনের কাজ শুরু হলে রাজস্ব আদায় আরও বাড়বে। মনে করেন পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকরা। 

প্রসঙ্গত, অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের সংখ্যা ৫০ হাজারের গণ্ডি  ছাড়ায় জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে। চলতি মাসেই এই সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়াবে বলেই আধিকারিকরা আশা  করছেন। 

বিনিয়োগের জন্য ছাড়পত্র পাওয়ার পদ্ধতি সরল করার ফলে আলগা হয়েছে লাল ফিতের ফাঁস। ন্যূনতম সময়ের মধ্যেই বিনিয়োগকারীদের হাতে ট্রেড লাইসেন্স তুলে দেওয়া যাচ্ছে। ‘রিয়েল টাইম’ ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থায়, আবেদনকারীকে তাঁর ব্যবসা ও ব্যবসাস্থল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে আপলোড করতে হয়। অনলাইনেই জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁর ট্রেড লাইসেন্সের জন্য অ্যাপ্লিকেশন ফি বাবদ কত টাকা দিতে হবে। আর তা অনলাইনে পেমেন্ট করলেই কোনও প্রাথমিক পরিদর্শন ছাড়াই মেলে ট্রেড লাইসেন্সের শংসাপত্র। এই ব্যবস্থা গত ১ অক্টোবর শুরু হলেও কাজে জোয়ার আসে মূলত পুজোর পর, নভেম্বরে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Building Plan, #Mutation, #online, #Revenue

আরো দেখুন