ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা মহাকাশে! স্পেস স্টেশন ধ্বংসের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার
চাপের মুখে পালটা চাপ ফিরিয়ে দিল রাশিয়া। আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিল ইউরোপ-সহ বিশ্বের একাধিক দেশ। আন্তর্জাতিক এই নিষেধাজ্ঞায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ মস্কো। কোনওরকম নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে, যুদ্ধের উত্তেজনা (Russia-Ukraine Conflict) এ বার মহাকাশে নিয়ে গেলেন পুতিন। রাশিয়ার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, তাদের উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (International Space Station) ধ্বংসের কারণ হতে পারে।
রাশিয়ার এই হুঁশিয়ারি এই প্রথমবার নয়। দিন কয়েক আগেও একবার এমন হুঁশিয়ারি শুনিয়েছিলেন রুশ মহাকাশ সংস্থার প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন। একাধিক টুইট বার্তায় রীতিমতো হুমকির সুরে তিনি বলেছিলেন, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS to crash) ফেলে দিতে পারে রাশিয়া। অর্থাৎ ধ্বংস করে দিতে পারে।
আমেরিকা, রাশিয়া-সহ বিশ্বের একাধিক দেশ মিলে এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (International Space Station) গড়ে তুলেছে। বিশ্বের তাবড় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এখানেই গবেষণা করেন। পরস্পরের মধ্যে যাবতীয় তথ্য আদানপ্রদান করেন।
আন্তর্জাতিক এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটির অবস্থান ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উঁচুতে। এটি আসলে একটি মহাকাশযান। ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার বেগে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। যার ওজন প্রায় ৪২০ টন। গোটা পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সময় লাগে মাত্র দেড় ঘণ্টা। দিনে ১৬ বার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে এই মহাকাশ স্টেশন। ১৯৯৮ সালে এই মহাকাশ স্টেশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৫টি দেশ এর সদস্য। রাশিয়ার এই হুঁশিয়ার স্বভাবতই উদ্বিগ্ন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
এ দিকে, শনিবার কিভ দখলের পথে আরও অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে রুশ বাহিনী। একাধিক শহরে রুশ গোলাবর্ষণ অব্যাহত। কিভের সরকারি একটি সূত্রে দাবি, ইউক্রনের বন্দরশহর মারিউপোলেই শুধু দেড় হাজার সাধারণ নাগরিক রুশ হামলায় নিহত হয়েছেন। আকাশপথে হামলা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে পুতিন বাহিনী। কিভ, খারকিভ, ওডেসা, ডিনিপ্রো শহরে আছড়ে পড়ছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র।
শনিবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ১৭ দিনে পড়ল। এর মধ্যে চার বার শান্তি বৈঠক হলেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কাতেই আমেরিকা সরাসরি সংঘাতে যেতে নারাজ। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।