পেট্রল ও ডিজেলের শুল্ক থেকে আয় ৮ লক্ষ কোটি, কেন্দ্রের নিন্দায় সরব বিরোধীরা
মাত্র তিন বছরেই দেশবাসীর থেকে আদায় হয়েছে ৮ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। পেট্রল ও ডিজেলের উপর বলবৎ হওয়া কেন্দ্রীয় শুল্ক থেকেই এই আয়। আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম তলানিতে থাকা সত্ত্বেও বিগত বছরগুলিতে পেট্রল ও ডিজেলের দামে কোনও স্বস্তি পায়নি আমজনতা। কারণ, দফায় দফায় বেড়েছে শুল্ক। ২০১৮ সালে যেখানে পেট্রলের উপর কেন্দ্রীয় শুল্ক ছিল ১৯ টাকা ৪৮ পয়সা, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সেটাই হয়েছিল প্রায় ২৮ টাকা। সেটাও দীপাবলীর সময় কেন্দ্রীয় সরকার শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে। আগে একসময় কেন্দ্রীয় শুল্ক এক লিটারে ৩৩ টাকায় পৌঁছে যায়। এক লিটার ডিজেলের উপর চাপানো শুল্ক দাঁড়িয়েছিল ৩২ টাকা।
বস্তুত এই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় শুল্কের কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম অনেক কম থাকলেও, ভারতবাসী তার সুফল পায়নি। বরং উত্তরোত্তর বেড়েছে পেট্রপণ্যের দাম। ১০০ টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় একমাস পেট্রপণ্যের দামবৃদ্ধি স্থগিত ছিল। কারণ পাঁচ রাজ্যের ভোট। ভোটপর্ব মিটতেই আবার দাম বৃদ্ধির প্রবণতা শুরু হয়েছে। গত দু’দিনে পেট্রলের দাম ১ টাকা ৬০ পয়সার মতো বেড়েছে লিটারে। এই প্রবণতা থেকেই স্পষ্ট ঊর্ধমুখী দাম আপাতত থামবে না। ঠিক এই আবহেই সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্র বিগত তিন বছরে বিপুল অর্থ আয় করেছে ট্যাক্সের মাধ্যমে। শুধুমাত্র বিগত আর্থিক বছরেই ৩ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। গত দু’দিন ধরে পেট্রপণ্যের দাম বেড়ে চলায় সংসদে আছড়ে পড়েছে বিরোধীদের সমালোচনা। লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন দফায় দফায় স্থগিত হয়ে যায় বিরোধীদের হট্টগোলে।
বুধবার রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি করেছেন, এবার সরকার পেট্রল ও ডিজেলে ভর্তুকি দিক। এতদিন অনেক মুনাফা হয়েছে। এবার জনগণকে সুরাহা দেওয়া দরকার। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায়ও বসে কংগ্রেস। বিরোধীরা জানিয়েছে, পেট্রল ডিজেলের দাম কমাতে হবে। নচেৎ বিক্ষোভ চলবে।