বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে টেক্কা দিয়ে জমি সংক্রান্ত অনলাইন পরিষেবা প্রদানে শীর্ষে বাংলা
ডিজিটাল ইন্ডিয়া নিয়ে প্রায়শই ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচারে নামে মোদী সরকার। তবে জমি সংক্রান্ত অনলাইন পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দেশে এক নম্বর স্থানে উঠে এসেছে বাংলা। বিজেপি তথা অন্যান্য রাজ্যগুলি পিছিয়ে রয়েছে বহু যোজন দূরে। চলতি অর্থবর্ষে এই ক্ষেত্রে বাংলার ধারে কাছে নেই গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশের মতো রাজ্যগুলি।
কেন্দ্র সরকারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত সারাদেশে জমি সংক্রান্ত অনলাইন পরিষেবা দেওয়া হয়েছে ১০৬ কোটি ৭২ লক্ষ ৬ হাজার ৯২৫টি। তার মধ্যে ৮১ শতাংশেরও বেশি পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে শুধু এ রাজ্যেই। যার সংখ্যা হল ৮৬ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৫টি। যেখানে, গুজরাত আটকে রয়েছে মাত্র ১০ কোটি ৮৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪৮৭টি পরিষেবা প্রদানে। এই সময়কালে হিমাচল প্রদেশে প্রদান করা হয়েছে মাত্র ২৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৩৮টি পরিষেবা। ওড়িশাও এই পরিষেবা দিয়েছে মাত্র ৫ কোটি ৪৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩২৬টি। নবান্ন সূত্রে খবর, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগেই অনলাইন পরিষেবা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। মৌজার ম্যাপ, প্লটের সার্টিফাইড কপি, মিউটেশন ও জমির চরিত্র বদলের আবেদন এখন করা যায় অনলাইনে।
এখন রাজ্যে জমির প্লটের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। এক ক্লিকেই যে কোনও প্লটের তথ্য পাওয়া যায় কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। এমন ব্যবস্থাই চালু করেছে রাজ্য। ৮৬ কোটি অনলাইন পরিষেবার মধ্যে প্রায় ৪১ কোটিই হল জমির তথ্য যাচাই সংক্রান্ত। খতিয়ান যাচাই সংক্রান্ত পরিষেবার সংখ্যা ২৫ কোটির উপর। রাজ্যের ৩৪৬টি ব্লকেই অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল স্বাক্ষর যুক্ত খতিয়ানের প্রতিলিপি দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আবার এই এক বছরে ১১ কোটির উপর প্লটের মানচিত্র সংক্রান্ত অনলাইন পরিষেবা দেওয়া হয়েছে রাজ্যে।
২০১১ সালে পালাবদলের পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সব ক্ষেত্রে ই-গভর্নেন্স চালুর উদ্যোগ নেয়। সেই কাজ সম্পূর্ণ হয় ২০১৭-’১৮ সালে। এপ্রিলে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে সামনে রেখে বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে জোর দেওয়া হয়েছে ‘ইজ অব ডুইং বিজনেসে’।