পাঁচ দিনে চতুর্থবার বাড়ল জ্বালানির দাম, মহার্ঘ্য পেট্রল-ডিজেল, নাভিশ্বাস জনগণ
ফের দাম বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol-Diesel Price Hike)। এই নিয়ে পাঁচ দিনে চতুর্থবার বাড়ল জ্বালানির (Petrol-Diesel) দাম। আজ, শনিবার সকালে প্রতি লিটারে ৮৩ পয়সা করে বাড়ছে পেট্রোলের দাম। ডিজেলের দামও লিটারপ্রতি ৭৯ পয়সা করে বাড়ছে। এর ফলে কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১০৮ টাকা ১ পয়সা এবং লিটার প্রতি ডিজেল ৯৩ টাকা ১ পয়সা হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ৮৪ পয়সা ও ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৮০ পয়সা বেড়েছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড তেলের দামের ওঠা-নামার উপরই নির্ভর করে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই একাধিক দেশের তরফে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে একাধিক পশ্চিমী দেশ। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সঙ্কট দেখা গিয়েছে। যার ফলে বাড়ছে দাম।
উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট থাকায় দীর্ঘদিন জ্বালানির দাম বাড়ায়নি কেন্দ্র। ভোটের ফল বেরনোর দু’সপ্তাহের মধ্যেই বাড়ানো হয় পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম। পেট্রোল-ডিজেলের দাম ১৩৭ দিনে প্রথম বার বেড়েছিল ২২ মার্চ, মঙ্গলবার সকাল থেকে। বর্ধিত দর জানানো হয়েছিল সোমবার রাতেই। সেই থেকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে জ্বালানি দাম। সেদিন রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম একধাক্কায় ৫০ টাকা বাড়ানো হয়।
সিলিন্ডার পিছু রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে হয় ৯৭৬ টাকা। যা সর্বকালীন রেকর্ড। মধ্যবিত্তের উপর থেকে চাপ কমাতেই ২০২১ সালের ২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পেট্রোল-ডিজেলের উপরে যথাক্রমে ৫ ও ১০ টাকা করের ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম অপরিবর্তিতই ছিল। কিন্তু ৫ রাজ্যে ভোট মিটে যাওয়ার পর পরই দাম বাড়তে শুরু করে। এই নিয়ে পাঁচ দিনে চতুর্থবার বাড়ল জ্বালানির দাম।
শহরের নাম পেট্রোল ডিজেল
দিল্লি: ৯৮.৬১ ৮৯.৮৭
মুম্বই: ১১৩.৩৫ ৯৭.৫৫
কলকাতা: ১০৮.০১ ৯৩.০১
চেন্নাই: ১০৪.৪৩ ৯৪.৪৭
করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা উন্নতি হলেও গত দু’বছরে রুটি-রুজি হারিয়ে সংকটে বহু মানুষ। এরই মধ্যে জ্বালানির দাম বেড়ে চলায় চিন্তার ভাঁজ আমজনতার কপালে। যদিও পেট্রোল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপির শীর্ষনেতারা। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, কেন্দ্রের উচিত তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা। না হলে দেশের অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
(স্থানীয় কর ও পরিবহন খরচ অনুসারে দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল ও ডিজেলের দামের কিছুটা ফারাক হয়ে থাকে)