পশ্চিমের দেশগুলোর সাহসের অভাব, খেদ জেলেনস্কির
একমাসেরও বেশি সময় ধরে দুনিয়ার অন্যতম সেরা সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে যুঝে চলেছে ইউক্রেন।
দেশটা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তবু রাশিয়ার আগ্রাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি ইউক্রেনের সেনা, মাথা নত করেননি প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। প্রথম দিন থেকেই আমেরিকা, ব্রিটেন সহ গোটা পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে সাহায্য চেয়ে আসছেন জেলেনস্কি। কিন্তু কিছু অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া তেমন সহযোগিতা পাননি। এবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল তাঁর। বলেই ফেললেন, পশ্চিমের দেশগুলোর সাহসের অভাব।
আকাশপথে পুতিনের সেনাকে রুখতে ফাইটার জেট বিমান চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তা দেওয়া নিয়ে চলছে নানাবিধ টালবাহানা। এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি বললেন, ‘মারিউপোলের রক্ষাকারীদের সঙ্গে আজ কথা বলেছি আমি। তাঁদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে। এঁদের সাহসের ১ শতাংশও যদি এই ট্যাঙ্ক এবং জেট প্লেন হস্তান্তর কীভাবে হবে তা নিয়ে ৩১ দিন ধরে ভেবেই চলাদের মধ্যে থাকত!’
স্পষ্টতই পশ্চিমের দেশগুলোর ওপর বিরক্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। বার বার ভিডিও বার্তায় সাহায্যের আবেদন করেছেন তিনি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোর সেনা কোনওভাবেই সরাসরি অংশ নেবে না। তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে বলে মনে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু অস্ত্র সরবরাহ করা নিয়েও টালবাহানা করছে আমেরিকা সহ গোটা পশ্চিমী দুনিয়া।