বাংলার পর মিজোরামে সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের ইউনিফর্মে সমতা আনার প্রস্তাব
বাংলার সরকারের পথেই হাঁটল মিজোরাম। সম্প্রতি রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের সব সরকারি স্কুলেই হবে নীল-সাদা পোশাক। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হবে, সব ছাত্র-ছাত্রীর ড্রেসেই থাকবে ‘ বিশ্ব বাংলা’ লোগো। এই নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আর এরই মধ্যে , পশ্চিমবঙ্গের দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছে মিজোরাম। সেই রাজ্যেও সব সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের পোশাকে সমতা আনার প্রস্তাব দিয়েছে মিজোরাম সরকার। সেখানের সব প্রাইমারি থেকে হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলে সবার জন্য একই রকম ইউনিফর্ম থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এই নিয়ে সম্প্রতি মিজোরামের শিক্ষামন্ত্রী Lalchhandama Ralte বৈঠক করেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানেই সব সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য একই রকম ইউনিফর্ম করার প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে জানান Human Resources Development Board-র ভাইস চেয়ারম্যান L.Thangmawia । তিনি আবার সেই রাজ্যের শাসকদল MNF-এর বিধায়ক। Lengteng আসনের ওই বিধায়ক জানান, সেই রাজ্যের ধনী এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াদের স্কুলের পোশাকে সমতা নিয়ে আসার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। L. Thangmawia বলেন, “ সবার জন্য একই রকম পোশাক কোনও নতুন জিনিস নয়। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টা চালু হয়েছে। কয়েকটি রাজ্যে এই নিয়ম চালু হয়েছে। মিজোরামের Presbyterian Church-র অধীনে সব ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেও একই রকম ইউনিয়ম পরা হয়।” তিনি এই সঙ্গে যোগ করেন, “ সবার জন্য একই পোশাক চালু করা হলে সুবিধা হবে পড়ুয়াদেরই। কোনও পড়ুয়ার বাবা-মা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গেলে সে ওই পোশাক পরেই নতুন স্কুলে যেতে পারবে।”
তবে, সব ক্লাসের ড্রেস একই রকম রঙের হবে না। প্রাইমারি স্কুল ও হাইস্কুলের ইউনিফর্ম আলাদা হবে। মিডিল ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্লাসের ইউনিফর্মও আলাদা রঙের করা হবে বলেও ওই বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে সেই রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রার্থনার সময়ে ‘Aw nang, kan Lal kan Pathian’ গানটি গাইতে বলে ঠিক হয়েছে। ওই বোর্ডের মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের কাছে এই দেশাত্ববোধক ও ভক্তিমূলক গান গাওয়ার আবেদন করা হবে। ওই গানটি লিখেছিলেন মিজোরামের প্রয়াত Rokunga। সেই রাজ্যের insurgency period-এ এই গানটিকে সেই রাজ্যের ‘জাতীয় সঙ্গীত’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এখনও সেই রাজ্যে নানা অনুষ্ঠানে গাওয়া হয় ওই গানটি। এর পিছনে কোনও রাজনীতি নেই বলেও দাবি করেন ওই বিধায়ক।