বিরোধী শিবিরে নাম লেখাল জোটসঙ্গী, ক্ষমতা হারাতে চলেছেন ইমরান?
Imran Khan-এর কাছে বড় ধাক্কা। সঙ্গ ছেড়ে দিল তাঁর সরকারের প্রধান জোটসঙ্গী। সূত্রের খবর, এর জেরে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf) বা PTI-এর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার।
তথ্য বলছে, ইমরান খান ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমশ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে মুত্তাহিদা কোয়ামি মুভমেন্ট পাকিস্তান (Muttahida Qaumi Movement Pakistan) বা MQM-P। তারা নাকি প্রধান বিরোধী পাকিস্তান পিপলস পার্টি (Pakistan Peoples Party) বা PPP-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে! আর তাতেই কপাল পুড়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীর। কারণ, এত দিন এই MQM-P-ই ইমরানের সবথেকে বড় ভরসা ছিল।
এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত PPP-র চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। এ নিয়ে একটি টুইট করেছেন তিনি। লিখেছেন, “সঙ্গবদ্ধ বিরোধীরা এবং MQM একটি সমঝোতায় পৌঁছে গিয়েছে। MQM-P-এর রাবতা কমিটি এবং PPP CEC এই সমঝোতাকে অনুমোদন করবে। আগামিকালই আমরা এই বিষয়ে যাবতীয় তথিয সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরব। পাকিস্তানকে অভিনন্দন।”
এখনও পর্যন্ত যেটুকু খবর সামনে আসছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে ইতিমধ্যেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেছেন ইমরান খান ও তাঁর সরকার। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই ইমরান খানকে অনাস্থায় হারানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বিরোধীরা। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ঠিক আগের রাতে যেসমস্ত ঘটনা ঘটেছে, তা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য মোটেই সুখবর নয়।
পাকিস্তান সরকারের বিরোধী দলগুলি জোট বাঁধার পর তাদের হাতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ১৭৭ জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। MQM-P ইমরান খান সরকারের সঙ্গ ত্যাগ করাতেই বিরোধীরা এই বিপুল সংখ্যক সমর্থন লাভ করতে সমর্থ হয়েছে। তার মানে এখন সরকারের হাতে রয়েছে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ১৬৪ জন সদস্য (Members of National Assembly)।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর তখ্ত থেকে ইমরান খানকে হঠাতে হলে বিরোধীদের মোট ১৭২টি ভোট প্রয়োজন। সেই সংখ্যা ইতিমধ্যেই হাতে চলে এসেছে তাদের। তাই ইমরান খান সরকারের পতন এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট সদস্য সংখ্যা হল ৩৪২। সেক্ষেত্রে সরকার গঠন করার ম্যাজিক ফিগার হল, ১৭২। PTI-এর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের হাতে ছিল ১৭৯ জন সদস্য। কিন্তু, এখন MQM-P আর সরকারের সঙ্গে নেই। ফলে সরকারের হাতে পড়ে থাকছেন মাত্র ১৬৪ জন জনপ্রতিনিধি। উলটো দিকে, বিরোধীদের হাতে রয়েছেন ১৭৭ জন সদস্য।