অনুব্রতকে গ্রেপ্তারের ছক কষছে বিজেপি, বগটুই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা মমতার
বগটুই কাণ্ডে ‘সত্য অনুসন্ধানের জন্য’ পাঁচ সদস্যের দল তৈরি করেছিল বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই দল বুধবার বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডাকে রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট নিয়ে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, রিপোর্টে নাম রয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। মমতার কথায়, ‘‘তার মানে ওঁকে গ্রেপ্তার করতে চায়!’’
পাহাড় থেকে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ শানালেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বগটুই নিয়ে সত্য অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে রয়েছে অনুব্রতের নাম। মমতা বলেন, ‘‘ওঁরা রিপোর্টে আমার জেলা সভাপতির নাম করেছে। এটা খুব খারাপ। তদন্ত না করে কী করে আমার জেলা সভাপতির নাম উল্লেখ করতে পারেন? তার মানে ওঁকে গ্রেপ্তার করতে চায়! এটা তো ব্যক্তিগত শত্রুতার ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। সবাইকে গ্রেপ্তার করতে চায়। যাঁরাই বিজেপি-র বিরোধিতা করছে, ওঁরা সবাইকে গ্রেপ্তার করতে চায়। এ ভাবেই সবার মুখ বন্ধ করতে চাইছে বিজেপি। আমি বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের এই মনোভাবের তীব্র নিন্দা করছি।’’
সিবিআই তদন্ত যখন চলছে, তখন বিজেপি কী ভাবে পৃথক অনুসন্ধান চালিয়ে তার রিপোর্ট পেশ করতে পারে? প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা সিবিআই-কে পূর্ণ সহযোগিতা করছি। কিন্তু এ ব্যাপারে আমার একটা পর্যবেক্ষণ আছে। তদন্ত যখন চলছে, তখনই এই সমস্ত রিপোর্ট তদন্তকে প্রভাবিত করবে। তদন্তকে দুর্বল করবে। রাজনৈতিক কারণে তদন্তের অপব্যবহার হচ্ছে। আমি এই ধরনের কাজের তীব্র নিন্দা করছি। সরকারকে অবশ্যই দেখতে হবে যে ক্ষমতার এমন অপব্যবহার তদন্তকে ভুল পথে চালিত করবে। মানুষ তদন্তকারী সংস্থার উপর বিশ্বাস হারাবেন।’’
দল ও সরকারের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে মমতা বলেন, ‘‘দলের সভাপতি একটা কথা বলবে। সরকার একটা বলবে। দল আর সরকার এক নয়।’’ তার পরই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্য সরকার সিবিআই-কে সমস্ত রকম সহযোগিতা করছে। কিন্তু তদন্ত চলাকালীন এই ধরনের রিপোর্ট তদন্তকেই দুর্বল করবে বলে মনে করেন তিনি।