ফর্ম খারাপ, বিরাটের গত ১২ মাসে বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমেছে ৪৩২ কোটি
গত এক বছরে অনেকটাই কমেছে বিরাট কোহলীর ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’। ২০২০ সালে বিজ্ঞাপন থেকে ১৮০৩ কোটি টাকা আয় করতেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। কিন্তু ২০২১ সালে বিজ্ঞাপন জগত থেকে তাঁর আয় ১৩৭১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত ১২ মাসে কোহলীর বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমেছে ৪৩২ কোটি টাকা।
গত এক বছরে বিজ্ঞাপনের বাজারে কোহলীর এই পতনের অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে তাঁর একের পর এক অধিনায়কত্ব ছাড়া। প্রথমে টি২০ দলের অধিনায়কত্ব ছাড়েন তিনি। তার পরে তাঁকে এক দিনের দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই। সেই বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বিতর্কেও জড়ান কোহলী। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পরে টেস্ট দলেরও অধিনায়কত্ব ছাড়েন। এই বছর আইপিএলের আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরেরও অধিনায়কত্ব ছাড়েন তিনি। এই অধিনায়কত্ব ছাড়ায় তাঁর উপরে কিছুটা হলেও ভরসা হারাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা।
শুধু তাই নয়, কোহলীর ব্যাটে দীর্ঘ দিন রান নেই। ২০১৯ সালে শেষ বার শতরান করেছিলেন তিনি। তার পর থেকে তিন অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছতে পারেননি। সেই কারণেও তাঁর বিজ্ঞাপন মূল্য কিছুটা কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে তাঁর বিজ্ঞাপন মূল্য আরও কমতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, কোহলীর ভবিষ্যৎ কী, সেই বিষয়ে চিন্তিত সংস্থাগুলি। কিন্তু যদি ব্যাট হাতে কোহলী ফের ফর্মে ফিরতে পারেন তা হলে পরিস্থিতি বদলাতে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
এত কিছুর পরেও অবশ্য ভারতের বিজ্ঞাপনের এক নম্বর মুখ কোহলী। এখন প্রায় ৩০টি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনি। রণবীর সিংহ, অক্ষয় কুমার, আলিয়া ভট্টদের তুলনায় তাঁর হাতে বেশি বিজ্ঞাপন রয়েছে। রণবীরের ব্র্যান্ড ভ্যালু ১১৯৬ কোটি টাকা। অক্ষয় ও আলিয়া বিজ্ঞাপন থেকে যথাক্রমে ১০৬০ কোটি ও ৫১৪ কোটি টাকা আয় করেন।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে কোহলীর পরে রয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও রোহিত শর্মা। শুধুমাত্র আইপিএলে খেলেন ধোনি। তার পরেও তিনি বিজ্ঞাপন থেকে ৪৬১ কোটি টাকা আয় করেন। ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়েছে ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মার। ২০২০ সালে বিজ্ঞাপন থেকে তাঁর আয় ছিল ১৮৯ কোটি টাকা। ২০২১ সালে তাঁর আয় বেড়ে হয়েছে ২৪২ কোটি টাকা।