শ্রীলঙ্কায় দফায় দফায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ, শুক্রবার গভীর রাত থেকে জারি জরুরি অবস্থা
চরমে উঠেছে আর্থিক সংকট। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কাগজের অভাবে ঝুঁকছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। সে দেশের রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে তুঙ্গে উঠেছে ক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার গভীর রাত থেকে শ্রীলঙ্কায় জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে তেমনই খবর ।
শুক্রবার সন্ধেতেই রাষ্ট্রপতির বাসভবনের বাইরে জমায়েত করেছিল কয়েক হাজার জনতা। দাবি ছিল, রাজাপক্ষের ( Sri Lankan President Gotabaya Rajapaksa) পদত্যাগ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জনতা। গাড়িতে ভাঙচুর চলে। আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর পরই শ্রীলঙ্কার সেনার হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা তুলে দেন রাজাপক্ষে। জারি করেন জরুরি (State of Emergency) অবস্থা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষে জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতি জরুরি অবস্থা জারি করা আবশ্যিক ছিল। তাঁর যুক্তি, দেশে চলতে থাকা অশান্তি নিয়ন্ত্রণে আনা, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষের, প্রয়োজনে গ্রেপ্তার এবং সন্দেহভাজনদের আটক করতে জরুরি অবস্থার প্রয়োজন ছিল। তার পরেও অবশ্য দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।
উল্লেখ্য, গত সাত দশকে সবচেয়ে বড় আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। বিদ্যুতের অভাবে ব্ল্যাক আউট চলছে দেশে। এমনকী মিলছে না প্রতিদিনের প্রয়োজনের রান্নার গ্যাস। আগেও ক্ষুব্ধ নাগরিকদের কলম্বোর প্রধান সড়ক অবরোধ করতে দেখা গিয়েছে। অবরোধকারীদের বক্তব্য, রান্নার গ্যাসের অভাবে তাঁরা কেরোসিন তেল সংগ্রহ করতে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু তাও পাওয়া যাচ্ছে না। উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে অস্ত্রহীন সেনা মোতায়েন করে লঙ্কা সরকার।
পেট্রল পাম্পগুলিতে মিলছে না পেট্রল-ডিজেল। যার জেরে শনিবার থেকে বেসরকারি গণপরিবহণ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকরা। তথৈবচ অবস্থা ডিজেলেরও। এর মধ্যেই ভারত থেকে ৪০ হাজার টন ডিজেল পৌঁচছে শ্রীলঙ্কায়। যা পরিস্থিতি সাময়িক সামাল দেবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।