কনভার্সন থেরাপি বন্ধ ও সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে সংসদে বিল আনলেন দুই বিরোধী সাংসদ
সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেওয়া হোক। লোকসভায় এই দাবিতে সরব হলেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে (Supriya Sule)। এ বিষয়ে একটি প্রাইভেট মেম্বার’স (Private Member’s Bill) বিল পেশ করেছেন তিনি। সেই বিলের কপি নিজের টুইটার প্রোফাইলেও শেয়ার করেছেন ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (NCP) নেতা।
কয়েক বছর আগেই ৩৭৭ ধারায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, সমলিঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক দুই ব্যক্তির সম্মতিতে তাঁদের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয়, তাকে আর অপরাধ গণ্য করা যাবে না। কিন্তু তারপরও তাঁদের মধ্যে বিয়ের কোনও নির্দেশ বা আইন এদেশে সিদ্ধ হয়নি। প্রাইভেট মেম্বার’স বিলের মাধ্যমে সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিয়া দাবি করেন, LGBTQIA+ সম্প্রদায়ের মানুষজনকেও সমান অধিকার দেওয়া হোক। একে স্পেশ্যাল ম্যারেজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২ বলা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
কী স্পেশ্যাল ম্যারেজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২-এর প্রস্তাব
প্রস্তাবিত এই বিলে বলা হয়,
- যদি দুই পুরুষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হয় তাহলে সেক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ২১।
- সমকামী মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে এই বয়স হতে হবে ১৮।
- স্বামী কিংবা স্ত্রী লেখার বদলে বিয়ের নথিপত্রে লেখার কথাও বলা হয় বিলে।
LGBTQIA দম্পতিদের আইনসম্মতভাবে সন্তানের লালনপালন করার অধিকার দেওয়া উচিত। পাশাপাশি এঁদের সঙ্গীর পেনশন ও অন্যান্য সরকারি সুবিধাও দেওয়া উচিত বলে জানান এনসিপি সাংসদ। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে সমলিঙ্গে বিবাহের বিপক্ষেই সওয়াল করে কেন্দ্র। দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, এই ধরনের বিয়ে ভারতীয় পরিবার পরিকাঠামোর পরিপন্থী।
শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারও একটি বিল নিয়ে আসেন যা কনভার্শন থেরাপিকে নিষিদ্ধ করার কথা বলেছে। কনভার্শন থেরাপির মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা, মানসিক, মনস্তাত্ত্বিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক বা অন্য কোনো ভাবে রূপান্তকামী ব্যক্তির যৌন অভিমুখীতা এবং/অথবা লিঙ্গ পরিচয় পরিবর্তন, “নিরাময়” বা দমন করার চেষ্টা করা হয়। এই বিল পাশ হলে সেই রকম সব চেষ্টাই বেআইনি হয়ে যাবে, যা এলজিবিটি কমিউনিটির মানুষের কাছে এক বিশাল জয়।