শেষ বলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন ‘ক্যাপ্টেন’, দ্রুত নির্বাচনের পথে হাঁটল ইমরানের সরকার
আগেই বলেছিলেন, হাতে অন্য অস্ত্র রয়েছে। কাজেও সেটাই করে দেখালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। ২২ গজের মতোই শেষ বলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন ‘কাপ্তান’। আপাতত বাঁচিয়ে নিলেন তাঁর প্রধানমন্ত্রীর কুরসি। তার পরিবর্তে দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়ার পথে হাঁটল ইমরানের সরকার।
রবিবার সকাল থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) একের পর এক নাটক চলছিল। এই আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে সে দেশের একাধিক এলাকায় অশান্তি চলছিল। অশান্তি রুখতে ইসলামাবাদে (Islamabad) জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা। শোনা গিয়েছিল, গ্রেপ্তার হতে পারেন ইমরান। এর মাঝেই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পাক সংসদে অধিবেশন শুরু হয়। যেখানে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ছিল।
অধিবেশনের শুরুতেই নাটকের নতুন অঙ্ক রচিত হয়। দেখা যায় বিরোধীরা ইমরানের আগে সংসদের ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। এর পরেই ইমরানের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব (No Trust Motion) আনা হয়। সেই সময় সংসদে ইমরানের দলের মাত্র ২২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। হার প্রায় নিশ্চিত। হাজির ছিলেন না ইমরানও। ঠিক যখন পাকিস্তানের নির্বাচিত সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তখনই শেষ মুহূর্তে ম্যাচ বাঁচিয়ে নিলেন ১৯৯২ সালের বিশ্বজয়ী পাকিস্তান দলের ক্যাপ্টেন।
পাকিস্তানের সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবই খারিজ করে দিলেন ডেপুটি স্পিকার। তিনি জানালেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব আসলে সংবিধানবিরোধী। এই প্রস্তাবের পিছনে বিদেশি চক্রান্তের অভিযোগ উঠল। একইসঙ্গে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। তার পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান। সেখানে তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির কাছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে। একইসঙ্গে দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর প্রস্তাব দেওয়ার কথাও জানিয়ে রাখলেন ইমরান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর সুপারিশ মেনে নিলেন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি। দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে পাকিস্তান।
এদিকে ইমরানের সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা। অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা।