ফের একবার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা
ঋণ পরিশোধ করতে নিজেদের অক্ষমতার কথা জানিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা । বিভিন্ন দেশ- আর্থিক প্রতিষ্ঠান-বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রভৃতির কাছ থেকে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ রয়েছে শ্রীলঙ্কার । মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের ঋণ পরিশোধ করার কোনও ক্ষমতা নেই । নিজেদের দেউলিয়া অবস্থার কথা ব্যাখ্যা করে এই ঘোষণা করেছে ভারতের প্রতিবেশি এই দ্বীপরাষ্ট্রটি ।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসকদের থেকে স্বাধীনতা লাভ ইস্তক শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি কখনও এমন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়নি। অতিমারি পরিস্থিতি থেকেই ধীরে ধীরে আর্থিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছিল। ২০১৯-এর শেষপর্বে শ্রীলঙ্কার বিদেশই ঋণের পরিমাণ ছিল মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯৪ শতাংশ। ২০২১-এর শেষ পর্বে তা ১১৯ শতাংশে পৌঁছয়। ফলে বিদেশি ঋণ পাওয়ার পথ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
চলতি বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক ঋণ এবং সুদ মেটাতে অন্তত ৬৯০ কোটি ডলার (প্রায় ৫২,৪০০ কোটি টাকা) ব্যয় করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। অথচ সরকারি তথ্য বলছে, বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় মাত্র ২৩১ কোটি ডলারে (প্রায় ১৭,৫৪০ কোটি টাকা) এসে ঠেকেছে।
বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে টান পড়ার প্রভাব পড়ে আমদানিতে। বিশেষত, জ্বালানি তেল কেনা কমে যায় অনেকটাই। আর তার পরিণতিতে আকাশ ছোঁয় মূল্যবৃদ্ধি। শ্রীলঙ্কায় এখন এক কাপ চায়ের দাম ১০০ টাকা! এক কিলোগ্রাম চাল ৫০০ টাকা। চিনির কিলোগ্রাম ৪০০ ছুঁতে চলেছে। এমনকি, শিশুখাদ্যের দামও সাধারণের নাগালের বাইরে। অপ্রতুল জীবনদায়ী ওষুধ। কাগজের অভাবে বন্ধ স্কুল-কলেজের পরীক্ষা।