একই বিক্ষোভ মঞ্চে বাম-রাম’! বাংলায় আবার প্ৰকাশ্যে বিজেপি-সিপিএম গোপন আঁতাত
তৃণমূল কংগ্রেস বাম-রাম আঁতাতের অভিযোগ বারবার তুলেছে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই আঁতাতের অভিযোগ যে কতটা সত্যি রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় সামনে এল গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। যেখানে বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের সঙ্গে এক প্রতিবাদ মঞ্চে যোগ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উপলক্ষ শারীরশিক্ষা – কর্মশিক্ষার চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ মঞ্চ।
বিক্ষভাকারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়। এই সরকার অন্যায়-বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগ করেছে। আইন মেনে নিয়োগ হয়নি অনেক্ষেত্রেই।
কোনও সমস্যা যদি হয়ে থাকে তাহলে রাজ্য সরকার যে কঠোর ভাবে তার মোকাবিলা করবে সে কথা মুখ্যমন্ত্রী আগেই স্পষ্ট করেছেন। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি হলে অভিযুক্তদের যে রেয়াত করা হবে না সেটাও স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য সরকার যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তখনই বিক্ষভকারিদের সঙ্গে মঞ্চে দেখা গেল সায়রা শাহকে। মানে বাম নেতৃত্বকে।
কোন বামেরা দুর্নীতি হয়েছে বলে সুর চড়াচ্ছে? না যে বাম রাজত্বে বেআইনি নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারাতে হয়েছে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষককে। যে বামেদের রাজত্বে কেরলে বারবার শিক্ষক দুর্নীতি সামনে এসেছে। যে বামেদের পশ্চিমবঙ্গের মানুষ শুন্য করে দিয়েছে।
বামেদের সঙ্গে আন্দোলনে হাত মেলাল কারা? বিজেপি। কোন বিজেপি? যাদের দেশের মানুষ প্রত্যাক্ষান করতে শুরু করেছে। শনিবারের উপনির্বাচনের ফলেও দেখা গিয়েছে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, শুন্য হয়েছে গোটা দেশেই এই বিজেপি।
বাম এবং রামের গোপন আঁতাত। মানুষকে ভুল বোঝানো ফের একবার সামনে এল। তৃণমূল নেত্রী গোটা দেশজুড়ে বাম-রাম আঁতাতের যে কথা বলে আসছেন তা আবারও প্রমাণিত হল।