দলের অন্তর্দ্বন্দ্বকে স্বীকৃতি দিলেন দিলীপ, স্বীকার করলেন কর্মীদের ক্ষোভের কথা
রবিবারই বিজেপির (BJP) রাজ্য কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করেছেন মুর্শিদাবাদের ২ বিধায়ক গোরীশঙ্কর দত্ত ও সুব্রত মৈত্র। একইসঙ্গে কর্মসমিতি থেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন মুর্শিদাবাদের ২ নেতা বাণী গঙ্গোপাধ্যায় ও দীপঙ্কর চৌধুরীও। সোমবার সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কর্মীদের মনে একটা চাপ রয়েছে, কারণ আমরা পৌরসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে পারিনি। অনেকে এখনও নিষ্ক্রিয়। অনেকে এখনও ঘরে ফিরতে পারেননি। গত নির্বাচনে আমরা দেখেছি কীভাবে ভোট হয়েছে। ফলে কার্যকর্তাদের মনে ক্ষোভ আছে। তাই আলোচনার মাধ্যমে এটির সমাধান করাই একমাত্র উপায়। সবার মতামত নেওয়া দরকার। যাতে তাঁরা তাঁদের গুরুত্ব অনুভব করেন।”
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আরও বলেন, “লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ কিছু বড় নেতা-সহ বিপুল সংখ্যক মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেইসব নেতাদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তি রয়েছে। সবাই ভেবেছিলেন দল ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু দল ক্ষমতায় আসেনি। যে কারণে প্রত্যেকেই কোনও না কোনওভাবে বিভ্রান্ত। এখন একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এটা সঠিক নয়। প্রত্যেকের নিজেদের দায়িত্ব পালন করা উচিত। আমাদের পুরনো কর্মীরা, যাঁরা ২০১৯ সাল পর্যন্ত দলের জন্য লড়াই করেছেন তারা এখনও দলেই আছেন। বর্তমানে তারা একটু নিষ্ক্রিয় থাকলেও সঠিক সময়ে দায়িত্ব নেবেন।”
একইসঙ্গে অনুপম হাজরার মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “ঠিকই বলেছেন, আমিও পরামর্শ দিই। ওঁনারও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তিনি প্রয়োজন মনে হলে সেখানে বলতেই পারেন।” প্রসঙ্গত অনুপম হাজরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে ফলাফলের প্রেক্ষিতে বামেদের (Left Front) অনেক বেশি সংগঠত লাগছে বলে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বামেদের সংগঠিত হতে দেখিনি। তাদের লোক কোথায়? বামেরা ততটাই পাচ্ছে যতটা তৃণমূল তাদের ছাড়ছে। মুসলমান ভোটাররা যে বাবুল সুপ্রিয়র ওপরে খুশি নন তা বোঝা গিয়েছে। তাই তারা তৃণমূলকে সতর্ক করে দিয়েছে। কিছু ভোট বামেদের ফিরেছে।”