শ্রীলঙ্কায় নতুন ক্যাবিনেট, প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে বাদে নেই পরিবারের আর কোনও সদস্য
শ্রীলঙ্কায় আর্থিক বিপর্যয়ের (Sri Lanka Crisis) কারণে পদত্যাগ করেছিল গোটা মন্ত্রিসভা। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে এবং প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের (Mahinda Rajapaksha) পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা। এই পরিস্থিতিতে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করলেন শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট। উল্লেখযোগ্য ভাবে নতুন ক্যাবিনেটে রাজাপক্ষে পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কোনও সদস্য নেই। সতেরো জন মন্ত্রীকে নিয়ে নতুন ক্যাবিনেট গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিক্ষোভের মধ্যেই সোমবার নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার শাসক দলের একজন সাংসদ। বেশ কিছু তরুণ মুখকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে নতুন ক্যাবিনেটে। যদিও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলগুলি অনভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের মাধ্যমে ক্যাবিনেট গঠন করা সমর্থন করেননি। দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক বিপর্যয় সামলাতে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন বলেই মনে করেন তাঁরা।
ক্যাবিনেট গঠনের পরে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksha) বিশেষ বার্তা দেন নতুন মন্ত্রীদের। তিনি বলেন, “মন্ত্রিত্ব মানেই সুযোগ সুবিধা নেওয়া নয়। মন্ত্রীদের উপরে অনেক দায়িত্ব থাকে।” নতুন মন্ত্রীরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না, এমনটাই আশা করেন তিনি। দেশের অধিকাংশ সংস্থা আর্থিক দুর্দশায় ভুগছে, সে কথা উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট। দেশের তরুণদের প্রতি বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, “নতুন মন্ত্রীদের সমর্থন করুন সকলে।” মনে করা হচ্ছে, রাজাপক্ষে পরিবারের প্রতি বাড়তে থাকা জনরোষ সামলাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন গোতাবায়া। নতুন ক্যাবিনেটের দিকে এই বিপর্যয়ের দায় ঠেলে দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট, এমন ধারণাও করছেন অনেকে।
শ্রীলঙ্কা প্রশাসন পরিষ্কার করে দিয়েছে, ঋণদাতাদের অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। কার্যত অন্ধকারে ডুবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রতিবেশী দেশের এহেন দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কাকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে নতুন মন্ত্রিসভা ঘুরে দাঁড়াবে, আশাবাদী শ্রীলঙ্কাবাসী।